নিজস্ব প্রতিনিধি,কালিয়াগঞ্জ: পরিকল্পিতভাবে কালিয়াগঞ্জ থানাকে আক্রমণের ছক কষেছিল হামলাকারীরা। থানায় ঢুকে দেদার লুটপাট চালানোর পাশাপাশি এলাকাতে বাড়ি বাড়ি ঢুকে হামলা চালায় তারা। শুধু তাই নয় এক নিরাপরাধ নিরস্ত্র ডিউটিরত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে(Civic Volenteer) একা পেয়ে তাকে অপহরণ করে কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই ভলেন্টিয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রকাশ্য রাস্তায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মাটিতে ফেলে তাকে বেধড়ক লাঠি দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি কিল, চড়, ঘুষি এবং এলোপাথাড়ি চলে তার দেহর ওপর লাথি মারার ঘটনা। শুধু তাই নয় সোমবার আক্রমণকারীরা মুখে রুমাল বেঁধে এবং মাথায় হেলমেট(Helmet) পড়ে পুলিশ কর্মীদের অপহরণ করে তাদের পোশাক খুলে তাদের দেহের ওপর অত্যাচার চালায়। থানার ডিউটি অফিসার রুমে থাকা জরুরি কাগজপত্রে যেমন আগুন ধরিয়ে দেয়, তেমনি থানায় অন্যান্য আসামিদের যে সকল জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা ছিল সেগুলি লুট করে নেয়। সবটাই চলে অতি দ্রুত পরিকল্পনা মাফিক।
সোমবার কালিয়াগঞ্জ(Kaliyaganj) – এ বিপুল পরিমাণ বিক্ষোভকারীরা যে জড়ো হবে এবং বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে সেই আগাম সর্তকতা রিপোর্ট গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কি ধরনের পুলিশি বেষ্টনী গড়েছিল এবং বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকেও শেষ অবধি কালিয়াগঞ্জ থানা কে কেন হামলাকারিদের হাত থেকে রক্ষা করা গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জলকামান কেন আগেই ব্যবহার করা হলো না এবং পুলিশ ফোর্সকে পরিচালনার ক্ষেত্রে কি কি খামতি ছিল তা জানতে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।