নিজস্ব প্রতিনিধি: সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED’র কার্যালয়ে হাজিরা দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার কামারহাটি পুরসভার(Kamarhati Municipality) চেয়ারম্যান গোপাল সাহা(Gopal Saha)। এদিন তিনি সল্টলেকের CGO Complex’র ED’র কার্যালয়ে হাজিরা দেন। এর আগেও এক দিন পুরনিয়োগ দুর্নীতি(Municipality Recruitment Scam) মামলায় তাঁকে CGO Complex’র ED’র কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। এবারেও তাঁকে সেই মামলাতেই ডাকা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। মূলত পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোপাল কোনও ভাবে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে এদিন গোপালকে বেশ কিছু নথি হাতে নিয়ে CGO Complex’র ED’র কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায়। তা দেখে অনেকেই মনে করছেন, সম্ভবত ED’র আধিকারিকেরা গোপালের কাছ থেকে তাঁর সম্পত্তি এবং আয়ব্যয়ের হিসাব চেয়েছেন। সেই কারণেই ওই সব নথি হাতে এসেছেন গোপাল।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে যে দিন ED গ্রেফতার করল, সে দিনই কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন গোপাল। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার পরের দিন একটি মিছিল করেন গোপাল। সেখান থেকে তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা যত বার তাঁকে ডাকবে, তত বার তিনি হাজিরা দেবেন। যা তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সব কিছুর উত্তরও দেবেন। তাঁর কথায়, ‘আমাকে যখনই ডাকছে, যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে, উত্তর দিচ্ছি। ওরা একটা তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের প্রয়োজনে আমাকে ডাকতেই পারে। তাতে সময় লাগছে ঠিকই, কিন্তু ওরা ওদের কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে আমি হেনস্থা শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না।’ এদিনও দেখা গেল গোপাল বেশ ভাবলেশহীন মুখেই হাতে ফাইল হাতে CGO Complex’র ED’র কার্যালয়ে হাজিরা দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, পুরনিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি দেখছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। তাঁরা পুজোর আগে সেপ্টেম্বর মাসে কামারহাটি পুরসভার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল। সেই সঙ্গে ওই পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করেছিল। কামারহাটি তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্র। এর আগে CBI’র বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযানের অভিযোগ তুলে পুরসভায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মদন। তারপর দেখা যায়, তাঁর বাড়িতেও CBI তল্লাশি চালিয়েছে। ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরে মদনের দু’টি বাড়িতে পুরনিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তে হানা দেয় CBI। মদনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।