এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গ্রাম বাংলার নয়া অক্সিজেন ‘কর্মশ্রী’, বরাদ্দ ৮ হাজার কোটি

Courtesy - Google and Facebook.

নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডের জেরে হওয়া লকডাউন ধাক্কা দিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে। সেই স্তব্ধ হতে চাওয়া অর্থনীতিকে সচল করতে ২০২১-২২ সাল থেকেই দেশের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদরা বলে আসছেন, আমজনতার হাতে যতটা বেশি সংখ্যক নগদ টাকার যোগান বাড়াতে। তাতে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। বাজার অর্থনীতির চাকা নিজে থেকেই ঘুরবে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার হেঁটেছে তার উল্টো পথে। দেশের অর্থনীতির হালও তাই আরও খারাও হয়েছে। দেশে বেড়েছে বেকারত্ব, বেড়েছে কর্মী ছাঁটাই, বেড়েছে দ্রব্যমূল্য, বেড়েছে জ্বালানির দাম। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস জনতার। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ মেনে বাংলার ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার হেঁটেছে সরাসরি মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার পথে। তার নির্যাস বাংলায়(Bengal) কমেছে বেকারত্ব। মানুষের বেড়েছে ক্রয়ক্ষমতা। সচল হয়েছে বাজার অর্থনীতি। কেন্দ্র সরকারের হাজারো বঞ্চনাতেও ভেঙে পড়েনি গ্রাম বাংলার অর্থনীতি। এবার সেই গ্রাম বাংলার অর্থনীতিতেই নয়া অক্সিজেন হয়ে আসছে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প(Karmashree Project)। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ৮ হাজার কোটি।

কেন কর্মশ্রীকে গ্রাম বাংলার অর্থনীতিতে নয়া অক্সিজেন বলা হচ্ছে? কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মজুরি বাবদ বকেয়া ৩৭৩২ কোটি টাকা। সেই টাকা বিগত ২ বছর ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। সেই টাকা না আসায় গ্রাম বাংলার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগার মুখে এসে দাঁড়িয়েছিল। কেননা এই রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) অদক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরী(Lowest Daily Wages) ২২৩ টাকা করে দেওয়া হয়। স্বল্প দক্ষ শ্রমিকদের দেওয়া হয় দৈনিক ৩৩৪ টাকা ও দক্ষ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তা ৪৪৬ টাকা। সেই হিসাবে ১জন মানুষ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করলে তাঁর হাতে ২২ হাজার ৩০০ টাকা আসত। মাসের হিসাবে তা ৭ হাজার টাকার সামান্য বেশি। এটা নূন্যতম হিসাব। সেই আয় না থাকায় বাংলার Job Card Holders-দের আয় ধাক্কা খেয়েছি। কমে গিয়েছিল তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা। সেই জায়গায় ক্ষতের ওপর প্রলেপ দিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের একাধিক দফতরকে নির্দেশ দেন ১০০ দিনের কাজের Job Card Holders-দের কাজ দিতে। এমনকি পথশ্রী ও রাস্তাশ্রীর কাজেও টেন্ডার প্রাপ্ত ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন Job Card Holders-দের বাধ্যতামূলক ভাবে কাজ দিতে।

সেই সব নির্দেশের জেরে Job Card Holders-দের হাতে কিছুটা হলেও টাকা গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র আবার কবে টাকা দেবে সেই দিনের জন্য আর অপেক্ষা করতে রাজী নন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাংলাকে সাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে ৫০ দিনের কাজের প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’ চালু করেছেন। গত সপ্তাহে রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলার যে ২১ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের কাজ করেও তাঁদের প্রাপ্য মজুরি পাননি সেই টাকাও তাঁদের দিয়ে দিতে রাজ্য সরকার ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই বকেয়া মজুরি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পেয়ে যাবেন বাংলার ২১ লক্ষ Job Card Holders। তাঁরাই আবার আগামী দিনে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে কাজ পাবেন যেখানে কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরির সমান হারে মজুরি দেওয়া হবে। অর্থাৎ ১জন Job Card Holders ৫০ দিন ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পে কাজ করলে নূন্যতম ১১ হাজার ১৫০ টাকা আয় করবেন ১মাস ২০ দিনে। এই টাকাই তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াবে। রাজ্য বাজেটে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পে যে ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই টাকার প্রায় সবটাই বাংলার বাজারেই চলে আসবে। সেখান থেকে আবার কিছুটা টাকা রাজ্যের কোষাগারে ফিরে আসবে কর বাবদ। আর সেই কারণেই এখন গ্রাম বাংলার অর্থনীতে ‘কর্মশ্রী’কে নয়া অক্সিজেন বলা হচ্ছে।  

 ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১০০ দিনের কাজে শেষ বার বাংলাকে টাকা পাঠিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও ইতিমধ্যে ৬৪ লক্ষ ১৯ হাজার Job Card Holders-দের গড়ে ৪২.৭৮ দিনের কাজ নিশ্চিত করেছে মমতার সরকার। এর আগে শুধু কোভিড কালে অর্থাৎ, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে গড়ে ৫১.৯৮ দিনের কাজ পেয়েছিলেন বাংলার ১ কোটি ১৮ লক্ষ Job Card Holders। মোট মজুরির অঙ্ক ছিল ৮ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। তার আগে বা পরে এরাজ্যে গড়ে ন্যূনতম ৫০টি শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়নি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১ কোটি ১১ লক্ষ Job Card Holders গড়ে ৪৭ দিন করে কাজ পেয়েছিল। আর ২০১৯-২০’এ গড়ে ৪৯ দিনের কাজ পেয়েছিলেন প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ। এই দুই অর্থবর্ষে তাঁরা মজুরি পেয়েছিলেন যথাক্রমে ৭ হাজার ৩৬৮ কোটি এবং ৪ হাজার ৭৯০ কোটি। এ রাজ্যে কত জন কাজ করছেন এবং গড়ে কত দিনের কাজ পাচ্ছেন, এই দু’টি বিষয়ের উপরেই নির্ভর করে মোট মজুরি। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় Job Card Holders’র সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লক্ষ। সকলেই যে কাজ চাইবেন, এমনটা সাধারণত হয় না। ফলে ১ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষও যদি ৫০ দিন করে কাজ করেন, তাহলে বর্তমান দৈনিক মজুরির হার অনুযায়ী একটি অর্থবর্ষেই ব্যয় হবে ৮ হাজার কোটি টাকা। যে টাকার সবটাই ফিরে আসবে বাংলারই বাজারে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর