নিজস্ব প্রতিনিধি,কৃষ্ণগঞ্জ ও জলপাইগুড়ি: এক নাগাড়ে বৃষ্টির ফলে কৃষ্ণগঞ্জের রাস্তায় ধস। আর সেই ধসের ফলে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে তাঁদের। মাত্র চার বছর আগেই ধস নামা রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তায় এই বিপজ্জনক ধস নামার ফলে ইতিমধ্যেই বাঁশের অস্থায়ী ব্যারিকেড দিয়েছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ। যান নিয়ন্ত্রণ এবং গতিবিধির উপর নজর রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের।
ইতিমধ্যেই ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে কেন রাস্তায় ধস নেমেছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে দ্রুততার সাথে তৈরি হয়েছিল রাস্তা। আর যার ফলে বৃষ্টিতেই এমন ধ্বস নেমেছে। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে(Jalpaiguri) ভারী বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকলো জল, তিস্তায় লাল সংকেত জারি।রাতভর একটানা ভারী বৃষ্টি। শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে করলা নদীর জল ঢুকে পড়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড নেতাজিপাড়া পরেশ মিত্র কলোনী এলাকায়। বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন হয় ।সমস্যায় পড়ে বহু মানুষ। করলা নদীর পাশে স্থায়ী বাঁধ না থাকার কারণেই নদীর জল বেড়ে গিয়ে জল ঢুকে পড়ায় বিপত্তি।গত চব্বিশ ঘণ্টা ধরে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরের সব কয়টি জেলাতেই চলছে ভারী বৃষ্টি। গত চব্বিশ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৩, পার্শ্ববর্তী শিলিগুড়িতে ২২৩ মিলিমিটার, মালবাজার ৭১.১০ মিলিমিটার।
পাহাড় সহ সমতলে লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা, জলঢাকা সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়ে।জলপাইগুড়ির ফ্লাড ওয়ার্নিং অথরিটি অফিস সূত্রে জানা গেছে। জলঢাকা নদী সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, মেখলিগঞ্জ, এবং দমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অববাহিকায় লাল ও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে।পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়ছে সমতলের নদী গুলোর ওপর। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন পাহাড়ী ঝোরা গুলোতে হড়পা বানের আসংক্ষা রয়েছে এই কারণে। এর সঙ্গে ওদলাবাড়ীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ থেকে বাড়তি ৬০২৮.৭৯ কিউমেক জল ছাড়ার কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রের খবর।
তবে সেচ দফতর সূত্রের আরো খবর দোমহনি থেকে বাংলাদেশ বর্ডার অসুরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি। পাশাপাশি সুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা। অপরদিকে জলঢাকা এনএইচ ৩১ সুরক্ষিত এবং অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতার পাশাপাশি মেখলিগঞ্জে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।