নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিএ’র (DA) দাবিতে যৌথমঞ্চ দিল্লিতে অবস্থান করেছিল। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, যৌথমঞ্চের পেছনে আসলে আছে বিজেপি। এবার বড়সড় ‘প্রমাণ’ দিল সবুজ শিবির। সেই সঙ্গে দাবি। ‘রামবামকং’ চক্রান্ত।
সোমবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট করেন। সেখানে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার দু’টি রসিদের ছবি দেওয়া হয়। দেখা যাচ্ছে, সংগ্রামী যৌথমঞ্চের নামে সেই রসিদ কাটা হয়েছে। অর্থদাতা মঞ্চের ঠিকানা, বেলেঘাটা।
একটি রসিদে দেখা যাচ্ছে যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। অন্য রসিদে দেখা যাচ্ছে ৭৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই সব টাকা গিয়েছে, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার ফান্ডে। যদিও ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি ডব্লু ডব্লু ডব্লু ডট এই মুহূর্তে ডট কম।
এই রশিদগুলি আসল না নকল?
যদি আসল হয়, তাহলে যৌথ মঞ্চ দিল্লিতে কাদের আশ্রয়ে ছিল, কোথায় ছিল বুঝে নিন।
যদি এই টাকা দেওয়া হয়, তাহলে এত টাকা নগদে কেন? তাহলে টাকা কে বা কারা দিচ্ছে? কত টাকা উঠছে?মঞ্চের পর্দার পেছনের মুখগুলো স্পষ্ট হচ্ছে। রামবামকং।
যদি রশিদ ভুল হয়, মঞ্চ জানাক। pic.twitter.com/MKvjgZBJc7— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 17, 2023
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন, এই রসিদ আসল না নকল? যৌথমঞ্চের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, রসিদ ভুল হলে মঞ্চ জানাক। সবুজ শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘রসিদের ছবিগুলি আসল হলে যৌথ মঞ্চ দিল্লিতে কাদের আশ্রয়ে কোথায় ছিল বুঝে নিন’। কটাক্ষ, ‘মঞ্চের পর্দার পেছনের মুখগুলো স্পষ্ট হচ্ছে’।
কুণালের প্রশ্ন, ‘যদি এই টাকা দেওয়া হয়, তাহলে এত টাকা নগদে কেন? তাহলে টাকা কে বা কারা দিচ্ছে?’ আরও প্রশ্ন, ‘কত টাকা উঠছে?’ উল্লেখ্য, এর আগে জোড়াফুল শিবিরের দাবি ছিল, বাংলার নাম খারাপ করতেই দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিচ্ছে যৌথমঞ্চ। প্রশ্ন ছিল, বাংলার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে, এই ইস্যু তুলে কেন দিল্লিতে গিয়ে প্রশ্ন তুলছে না মঞ্চ?