এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চুলোয় গিয়েছে বিধি! পূণ্যের সন্ধানে মাস্কহীনদের ডুব সাগরে

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোররাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গা মাইয়ার কোলে ডুব দেওয়ার পালা। অন্যবার সঙ্গী থাকে হাড়হিম ঠাণ্ডা। এবছর সেটা উধাও, ঠিক যেভাবে গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির ভোরে সাগরের জলে ডুব দিয়ে পূণ্য সঞ্চয়ে আসা মানুষদের মুখ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে মাস্ক। প্রশাসনের তরফে খামতি নেই কোভিড মোকাবিলা করার জন্য। কিন্তু সেই সব ব্যবস্থা ঠিকঠাক ভাবে মেনে চলার কথা মেলায় আসা পূণ্যার্থীদের। দুর্ভাগ্য তাঁদের একটা বড় অংশই তা মানছেন না। মানা হচ্ছে না দূরত্ববিধিও। তবে সৈকতে পূণ্যস্নানের ভিড় ঠেকাতে গঙ্গাসাগরের মেলা প্রাঙ্গণে প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ই- স্নানের কাউন্টার খোলা হয়েছে। এই কাউন্টার থেকেই পুণ্যার্থীরা সাগরের জল নিয়ে বিশ্বাসের সঙ্গে পুণ্যস্নান করছেন।

গঙ্গাসাগর মেলায় যাতে কোভিডের থাবা না পড়ে তার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট বেশ কিছু কড়া শর্ত দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের সামনে। সেই সব যাতে কড়া ভাবে মেনে চলা হয় তার জন্য দুই সদস্যের এক নজরদারি কমিটিও গড়ে দিয়েছে আদালত। সেই কমিটি বুধবার থেকেই পড়ে রয়েছে গঙ্গাসাগরের মেলা প্রাঙ্গণে। দফায় দফায় তারা মেলার নানা অংশ ঘুরে দেখছেন। আদালতের নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও পূণ্যার্থীকেই মাস্ক ছাড়া যেমন মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরতে দেওয়া হচ্ছে না তেমনি কোভিড ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজের সার্টিফিকেট ও আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট না দেখা মেলায় কাউকে পা রাখতেও দেওয়া হচ্ছে না। মেলা প্রাঙ্গণে ৫০ জনের বেশি পুণ্যার্থীদেরন কোথাও জমায়েত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এই নিয়মগুলি খুব ভালভাবে মেনে চলা হচ্ছে। তার জন্য নজরদারিও চলছে। ড্রোনের মাধ্যমে সৈকতেও নজরদারি চলছে। এমনকি ড্রোনে করে সাগরের জল তুলে এনে পূণ্যার্থীদের একসঙ্গে ৫০জনকে মেলা প্রাঙ্গণেই দাঁড় করিয়ে ওপর থেকে জল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।

তবে তার মধ্যেও মেলার আয়োজন ও সেখানে আদালতের বিধি না মানা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত কমিটি। সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা মেলার অধিকাংশ মানুষকেই মাস্ক ছাড়া যেমন ঘুরতে দেখেছেন তেমনি মেলায় আসা তীর্থযাত্রীদের যে যথাযথ আরটিপিসিআর রিপোর্ট এবং ভ্যক্সিনের সার্টিফিকেট দেখা হচ্ছে না সেটাও খুঁজে পেয়েছেন। তবে এদিন ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরে যেমন স্নান শুরু হয়েছে তেমনি দলে দলে পূণ্যার্থীরা কলকাতার দিকে ফিরতেও শুরু করে দিয়েছেন। যাওয়ার সময়ের মতোই ফেরার সময়েও যাতে তীর্থযাত্রীরা এক টিকিটে গঙ্গাসাগর থেকে কলকাতায় ফিরে আসতে পারেন তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বাসে করে পূণ্যার্থীদের আসতে হচ্ছে কচুবেড়িয়ার ঘাটে। তার ভাড়া তাঁদের আলাদা করে বহণ করতে হচ্ছে। কিন্তু কচুবেড়িয়ার ঘাট থেকে ধর্মতলা বা হাওড়া পর্যন্ত আসার খরচ এক টিকিটেই ধরে নেওয়া হচ্ছে যার ভাড়া পড়ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিরিয়াল পোস্ট অফিস চুরির গ্যাংকে পাকড়াও করল হাবড়া পুলিশ

নবদ্বীপে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিক মৃত্যু ছাত্রের

অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠালেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন

ধুপগুড়িতে খেলার মাঠ বন্ধ করে দেওয়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ খেলোয়াড়দের

বাংলাদেশী সন্দেহে ৩৪৭ দিন জেলবন্দী ২ আদিবাসী মহিলা সহ তাদের শিশুরা

৪ বারের চেষ্টায় ইউপিএসসিতে সফল, তাক লাগিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের মেয়ে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর