নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীরাও স্বীকার করেন তিনি জনসংযোগের ক্ষমতায়(Power of Public Interactions) দেশের সেরা রাজনীতিবিদ। সেই স্বীকারোক্তি এমনি এমনি একদিনে আসেনি। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ওঠানামার যাত্রাপথে দেখা গিয়েছে তিনি বার বার নিরাপত্তার সব আগল ভেঙে মিশে গিয়েছেন জনতার সঙ্গে। আট থেকে আশি সকলের সঙ্গেই তিনি সমান সাবলীল। রাজপথ থেকে মেঠোপথে আন্দোলন করে উঠে আসার সুবাদে আজও তিনি পথে নেমে সমাব ভাবে সাবলীল জনসংযোগের জন্য। বার বার সে প্রমাণ তিনি রেখেছেন। এদিনও রাখলেন। নজরে মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of West Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কিছুদিন আগেই তিনি গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফেরার পথে করেছিলেন জয়নগরে সভা। সেদিন হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থল পর্যন্ত পায়ে হেঁটে জনসংযোগ সারতে সারতে এসেছিলেন তিনি। সেই ঘটনারই আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তিনি এদিন। কোচবিহারের(Coachbehar) সার্কিট হাউস থেকে পায়ে হেঁটে(Walking through Road) এদিন তিনি এলেন শহরের রাসমেলার সভাস্থলে।
মমতার এদিন কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি যাননি। পরিবর্তে তাঁর হয়ে সেখানে পুজো দেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এরপর বেলা ১২টার কিছু আগেই সার্কিট হাউস থেকে বেড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। পায়ে হেঁটে রওয়ানা দেন রাসমেলার মাঠে সভাস্থলের দিকে। পথে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা আমজনতার সঙ্গে জনসংযোগ করতে করতে এগোন মমতা। সেই ভিড়ে যেমন কচিকাঁচারা ছিল তেমনি ছিল কিশোর-কিশোরীরাও। ছিল স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। ছিলেন গৃহবধূ থেকে বয়স্ক মানুষেরা। ছিলেন অগণিত তৃণমূলের সমর্থক ও কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে অনেকেই এগিয়ে আসেন নানা দাবিদাওয়া নিয়ে। সেই সব দাবিদাওয়া শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেকেই আবেদন পত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে গুঁজে নেন। সেই সব কিছু হাসিমুখেই হাতে তুলে নেন মমতা। ছিলেন সংখ্যালঘু ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। মুখ্যমন্ত্রী সভায় এসে পৌঁছানোর আগেই কার্যত সেই সভাস্থল ঢাকা পড়েছিল লাখো মানুষের ভিড়ে। আর সেই ভিড় দেখে বেশ খুশিও হন মুখ্যমন্ত্রী।