এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ট্রেনচালক কী আগেই টের পেয়েছিলেন ইঞ্জিনের গোলযোগ? তদন্তে নাটকীয় মোড়!

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে নাটকীয় মোড়। কারণ, ট্রেনের ইঞ্জিনের সমস্যা নাকি আগেই টের পেয়েছিলেন চালক। যা স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। এর আগে দুর্ঘটনার পরদিন সংবাদমাধ্যমে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটির চালক প্রদীপ কুমার জানিয়েছিলেন, ইঞ্জিনে কোনও সমস্যা তিনি টের পাননি। তবে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি লাগতেই তিনি এমার্জেন্সি ব্রেক কষেছিলেন। এবার জানা যাচ্ছে চালকের বয়ান বদলে গিয়েছে। যদিও দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি-র (সিআরএস) নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি তদন্ত করছে রাজ্য সরকারের বিশেষ ফরেন্সিক দলও। এদিকে রেলের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার কিছু সময় আগেই বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের চালক প্রদীপ কুমার ইঞ্জিনের সমস্যার কথা বুঝতে পেরেছিলেন। সেটা জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের স্টেশন মাস্টারকে জানিয়েছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে। এমনকি এই বিষয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অপেক্ষা না করে চালক ট্রেন নিয়ে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরই দোমহনিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস।

এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, ট্র্যাকশন মোটরটি কি আগেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল? তা কী টের পেয়েছিলেন চালক? জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে লোকো পাইটের সাক্ষাতের বিষয়টি সেই জল্পনাই উস্কে দিয়েছে। সূত্রের খবর, লোকো পাইলট এবং গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, ওই অভিশপ্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। এমনকী, ট্রেনটি রানিনগর স্টেশনে দাঁড় করিয়ে পরীক্ষাও করা হয়। সেই বিষয়ে স্টেশনের লগ বুকেও উল্লেখ করা রয়েছে। আপাতত সেই লগ বুক সিআরএস নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে খবর। আরও প্রশ্ন উঠছে, রানিনগর স্টেশনে ইঞ্জিন পরীক্ষার পরও কী গুরুতর সমস্যার বিষয়টি বুঝতে পারেননি ইঞ্জিনিয়ার ও চালক। নাকি সেখানে কোনও সমস্যা ধরাই পড়েনি। তাহলে সামান্য কিছুটা পথ এগোতেই কীভাবে খুলে গেল ইঞ্জিনের একটি ট্র্যাকশন মোটর? অনেক প্রশ্ন থাকলেও উত্তর অধরা। আপাতত জানা যাচ্ছে, ওই দুর্ঘটনাগ্রস্থ ইঞ্জিনটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে।

অপরদিকে, ওই ট্রেনের যাত্রীদের দাবি ছিল, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন পার হওয়ার কিছু পর থেকেই প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেন তাঁরা। অনেকেই রেললাইন থেকে ধোঁয়া ও আগুনের ফুলকি দেখেন। এরপরই প্রবল ঝাকুনি দিয়ে ট্রেন থেমে যায়। এবং দেখতে পান ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে এবং কয়েকটি কামরা খেলনার মতো উল্টে-পাল্টে গিয়েছে। ট্রেন চালক জানিয়েছিলেন, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন পার হয়ে দোমোহনি পৌছতে গ্রিন সিগন্যাল পান তিনি। তখন ট্রেনটি ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। রেলের আধিকারিকদের বক্তব্য, এর আগেই দুটি মালগাড়ি ওই লাইনে গিয়েছিল। ফলে রেললাইনে বড় কোনও গোলযোগ ছিল না। ফলে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে WAP4 ইঞ্জিনটির দিকেই উঠছে অভিযোগের তির। কিন্তু লোকো পাইলট আগে টের পাওয়ার পরও কীভাবে হল দুর্ঘটনা? উত্তর খুঁজছে আহত ও নিহতের পরিবার। ইতিমধ্যেই আহতদের পরিবারের সদস্যরা ময়নাগুড়ি জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন ট্রেন চালকের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭ নম্বর ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর