এই মুহূর্তে




৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি, পাহাড়ে আসার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীকে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) অর্থনীতির অন্যতম অঙ্গ পর্যটন শিল্প(Tourism Industry)। আর সেই পর্যটন শিল্প দাঁড়িয়ে পাহাড় আর ডুয়ার্সের ওপর ভর দিয়ে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে বড়সড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তিস্তার বুকে নামা ধস। গত জুন মাস থেকে দফায় দফায় তিস্তার বুকে যে ধস নেমে চলেছে তাতে এখনও পর্যন্ত পাহাড়ের পর্যটন শিল্পে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার(Loss of 500 Crore Rupees) ক্ষতিসাধন ঘটেছে। সব থেকে বড় কথা, ধীরে ধীরে তিস্তার গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ১০ নং জাতীয় সড়ক। কার্যত বড় বিপদের মুখে পাহাড়ের অর্থনীতি। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়ে বার্তা দিয়েছে পর্যটন সংস্থাগুলি। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন উত্তরবঙ্গের পথে রওয়ানা দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ঠিক করার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলবেন। তবে এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর যে সংক্ষিপ্ত সফরসূচী সামনে এসেছে তাতে করে সম্ভবত এবার তাঁর আর পাহাড় যাওয়া হচ্ছে না।

আরও পড়ুন, কোশী আসছে ধেয়ে, কেন্দ্র হাতগুটিয়ে বসে, মমতার কাঠগড়ায় মোদি সরকার

পাহাড়ের পর্যটন সংস্থাগুলির দাবি, গত ২৯ জুন থেকেই জাতীয় সড়ক বন্ধ। যার দরুন ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়। তাঁদের দাবি, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ককে বাঁচাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা National Hydroelectric Power Corporation বা NHPC জাতীয় সড়কের ধার বরাবর গার্ডওয়াল বসানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই কাজ এখনও হয়নি। ফলে ধীরে ধীরে তিস্তাগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জাতীয় সড়ক। মাঝে জাতীয় সড়ক পূর্বের অবস্থায় ফেরায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু, টানা চার দিনের বৃষ্টিতে ফের বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং ও দার্জিলিঙের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সেলফিদারা, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রায়শই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। ধস নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। ফলে শীতের মরসুমের বুকিং শুরু হলেও তা আদৌ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন, মমতার আমলেই বাংলা থেকে শেয়ার বাজারে লগ্নির পরিমাণ বেড়েছে

এই প্রসঙ্গে Himalayan Hospitality and Tourism Development Network’র সম্পাদক সম্রাট স্যানাল জানিয়েছেন, ‘১০ নং জাতীয় সড়কের ওপর নির্ভর করে রয়েছে দার্জিলিং আর সিকিমের অর্থনীতি। তিস্তার জলোচ্ছ্বাস আর ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশার জন্য গত জুন মাস থেকেই মন্দার মুখ দেখছে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসা। ডুয়ার্সের গরুবাথান হয়ে লাভার রাস্তা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। কাজেই বহু সংখ্যক পর্যটক সেই পথে যেতে রাজি হন না। জাতীয় সড়ক ১০-এর বিকল্প কিছু নেই। কিন্তু সেটাকে বাঁচাতে শুধু রাজ্য বা পুর্ত দফতরকে এগিয়ে আসলে হবে না৷ কারণ, ১০ নং জাতীয় সড়কের বরাদ্দ এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। কাজেই তিস্তা থেকে জাতীয় সড়ককে বাঁচাতে গেলে বড় পরিকল্পনার দরকার। তা না হলে আগামী দিনে এই অঞ্চলের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, তিনি এসে এক বার এই সড়কের পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়ান।’ এবারে মুখ্যমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত সফরে তাঁর পাহাড় যাত্রা সম্ভব না হলেও আগামিকাল সকালে তিনি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা নিজে গিয়ে খতিয়ে দেখতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সুবর্ণরেখা নদী পারাপারের সময় জলে ডুবে মৃত্যু হস্তি শাবকের

ধান্যকুড়িয়ার বল্লভ রাজবাড়ির দিঘির পাড়ে ঠাকুর – চাকরদের ঘরগুলি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে

দুর্গাপুজোর আগে দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফেরালেন বিধায়ক ও চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে ঘনিয়ে আসছে দুর্যোগ, পুজোয় ভাসবে কলকাতা

নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুতে ফের বড়সড় ফাটল,ভারী যান চলাচল বন্ধ

মাটির দুর্গা নয়, জলপাইগুড়িতে এবার বাজিমাত করবে জীবন্ত দুর্গা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর