নিজস্ব প্রতিনিধি,মহিষাদল: রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি’তে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা মন লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানার(Mahishadal P.S.) চন্ডিপুর গ্রামের সঞ্জীব মাইতি। ফেসবুকে তৃণমূলের লোগো লাগানো সঞ্জয় পন্ডার একটি যেখানে সরকারি গ্রুপ ডি’র বিজ্ঞাপন ছিল। ২০১৮ সালেই ফেসবুকে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা সঞ্জয় পন্ডার সঙ্গে পরিচয় হয় মহিষাদলের চন্ডীপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব মাইতির। এরপর সঞ্জয় এর সঙ্গে দমদমে দেখা করে সঞ্জীব। টাকার মাধ্যমে সরকারি চাকরি হয়ে যাবে এবং ৯ জন ঠিক করে দিলে তার চাকরিটা ফ্রিতে হবে।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি সঞ্জয়ের ভালো সম্পর্ক ।তাই সরকারি গ্রুপ ডিতে চাকরি হয়ে যাবে। চাকরি পাওয়ার আশায় সেই কথা মত সঞ্জীব মাইতি ৯ জনকে ঠিক করে। তাদের যে ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হয়েছিলো তাতে বিশ্ববাংলার লোগো রয়েছে। সঞ্জীব বলে বিশ্ববাংলা যেহেতু রাজ্য সরকারের লোগো তাই সবাই বিশ্বাস করেছি। সঞ্জীবকে সঞ্জয় ফ্লাটে ডেকে ফর্ম দেয় এবং নগদ এক লক্ষ টাকা করে নেয়। মোট দশজনের ফর্ম ফিলাপের পর আরো এক লক্ষ টাকা করে, মোট ২০ লক্ষ টাকা দেয় সঞ্জীব। বিভিন্ন সরকারি অফিসে এবং বিকাশ ভবনে(Bikas Bhavan) নিয়ে গিয়ে ইন্টারভিউ হয়।
কখনো সিড়ির তলায় কখনো সিঁড়ির ওপরে টেবিল রেখেই ইন্টারভিউ চলত। নানা অজুহাতেই কেটে যায় কয়েকটা বছর। ২০২২ সাল থেকে সঞ্জীবের ফোন আর ধরতো না সঞ্জয়। যে নম্বর গুলো সঙ্গে যোগাযোগ হতো সেগুলো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। সমস্ত বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানায় সঞ্জীব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠিয়েছে ঐ যুবক। এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহ হয়নি। তাই মহিষাদল থানায় ওই সঞ্জয় পন্ডার নামে এফআইআর করেন সঞ্জীব মাইতি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।