এই মুহূর্তে




বাসন্তী হাইওয়ের ওপর বিপদজনক বিল্ডিং, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও উদাসীনতার অভিযোগ




নিজস্ব প্রতিনিধি,মালঞ্চ: সুন্দরবনের প্রবেশদ্বারে মালঞ্চ বাজারে বিল্ডিং – এর বেহাল ভগ্নদশা ।যত্রতত্র চাঙর ভেঙে পড়ছে” মৃত্যুর আশঙ্কা মালিকপক্ষের।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার মিনাখা থানার মিনাখা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসন্তী হাইয়ের মালঞ্চ বাজারে(Malancha Bazar) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাজার একদিকে হাইওয়ে কলকাতা গামী ও সরকারি বেসরকারি বাস যাতায়াত করে ,পাশাপাশি পর্যটকদের আনাগোনা এই সুন্দরবনের প্রবেশদ্বারে ।আর সেখানেই বিপদ সংকুল।১২ কাঠা জমির উপরে দোতলা বিল্ডিং। তাতে রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ২৪টা দোকান।তারা এখানে ব্যবসা করে দিন গুজরান করেন।প্রত্যেক ব্যবসায়ী মাসে ৫০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে আসছেন গত৫০ বছর ধরে।সেই বিল্ডিং আস্তে আস্তে ভগ্না দশায় পরিণত হয়েছে ।বেশ কিছু ব্যবসায়ী দাবি তুলেছেন এই বিল্ডিং সংস্কার করা হোক,তাহলে আমরা সুরক্ষিত এবং নিরাপত্তা নিয়ে এখানে ব্যবসা করতে পারবো।

একদিকে ক্রেতা থেকে সাধারণ মানুষ এখানে নির্ভয়ে আসতে পারবে বিভিন্ন দরকারে। বর্তমানে বিল্ডিংয়ে যা অবস্থা তা যে কোন সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে গিয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আতঙ্কিত পাশাপাশি রাতে ঘুমাতে পারছি না। আমার চাই এই বিল্ডিং সংস্কার হোক। কিন্তু এর মধ্যে গুটি কয়েক ব্যবসায়ী তারাই বিল্ডিং সংস্কার চাইছে না, ওই বিল্ডিং এর মালিক মাজিদা বিবি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়েছেন এলাকার এক বাসিন্দা হাসানুর জ্জামান মোল্লাকে ।তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের আমরা বলছি আপনারা সহযোগিতা করুণ বিল্ডিংটা সংস্কার করা হোক। আমরা কোন ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে চাইছি না এবং তাদের পুনরায় বিল্ডিং সংস্কার হওয়ার পর আবার তারা নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন নির্ভয়ে। মিনাখা গ্রাম পঞ্চায়েতে আদালত থেকে একটি অর্ডার যায়, এই বিল্ডিংটা বৈধ কিনা জানতে চায়। মিনাখা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিদ্দিক মোল্লা বলেন, ১৯৭৩ সালে পঞ্চায়েত আইন মেনে মালিক পক্ষ ও ব্যবসায়ী উভয়পক্ষকে ডাকে তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাই বিল্ডিং এর অনুমতি আছে কিনা। কিন্তু সেখানে কোন অনুমতি দেখাতে পারিনি। পঞ্চায়েত সেই কথা মহামান্য আদালতকে জানিয়ে দিয়েছেন। মহামান্য আদালত উভয় পক্ষের মামলার ভিত্তিতে পূর্ত দপ্তর(PWD) মাপ যোগ করে জানতে পারে ওই বিল্ডিংয় কিছু জমি পি ডব্লু ডি’র মধ্যে পড়েছে বলে সেখানে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আদালত বসিরহাট মহকুমা শাসকের কাছে বিষয়টি জানান এবং সেখানে উল্লেখ থাকে ছয় সপ্তার মধ্যে উপযুক্ত তদন্ত করে দেখা হোক যদি অবৈধ বিল্ডিং হয় তাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। যাতে এই বিল্ডিং সংস্কার করা যায় তার জন্য নির্দেশিকা জারি করলেও প্রশাসন উদাসীনতায় অভিযোগ তুলেছেন মালিকপক্ষ ।এখনো তার সমাধান সূত্র মেলেনি। মালিকপক্ষ বলছেন এই বিপজ্জনক বিল্ডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজারে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন সেখানে যদি বড় দুর্ঘটনা কিংবা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে তার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। তাহলে কি করব? প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি অবিলম্বে ওই বিল্ডিং এর সংস্কার চাই, কিন্তু উচ্ছেদ করে নয়” গুটি কয়েক ব্যবসায়ী তারা বিরোধিতা করছে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। এ বিষয়ে বসিরহাট মহকুমা শাসক (SDO)আশিস কুমার বলেন, আমরা তিনবার হিয়ারিং করেছি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে তদন্ত করার পরে মহামান্য আদালতকে বিস্তারিত লিখিত জানিয়েছি। এরপর আদালত যে অনুমতি আমাদেরকে দেবে আমরা সেইভাবে কাজ করব।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কুকুরের চিৎকারে প্রাণরক্ষা একরত্তির, জমিদারবাড়ির বাগানে সদ্যোজাত উদ্ধারে চাঞ্চল্য

জাফরাবাদের বাবা-ছেলে খুনে গ্রেফতার আরও ১, ধৃত বেড়ে ৫

তিস্তার ঘোলা জলে সঙ্কটে শিলিগুড়িবাসী, প্রকল্পে ক্ষতির সম্ভাবনা

লাল কালিতে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ঘিরে শোরগোল বাঁকুড়ায়, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

শালবনিতে রেলগেটে সজোরে ধাক্কা যাত্রীবাহী বাসের, গুরুতর জখম ১৫

পহেলগাঁও হামলার জের, রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের বৈঠক, নজরে সীমান্ত

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর