নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদাঃবামনগোলা ব্লকে বাড়ির চারপাশে জল। পুনর্ভবা নদীর জলের স্রোতে রাস্তা ভেঙে বাড়ি এখন জলের তলায়। যোগাযোগের মাধ্যম বিচ্ছিন্ন । যোগাযোগ বলতে একমাত্র ছোট ডিঙি নৌকা। স্রোতের কারণে ডিঙি নৌকায় যাতায়াত ঝুঁকির হয়ে উঠেছে। অন্তঃসত্বা মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনতে হচ্ছে। আতঙ্কের প্রহর গুনছেন পুনর্ভবা নদীর জলে প্লাবিত বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ, বটতলির আটটি পরিবার।চারদিন ধরে রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে বামনগোলা ব্লকের (Bamongola Block)জগদল্লা, গোবিন্দপুর-মহেশপুর, চাঁদপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রায় ১৫টি গ্রাম।
সে গ্রামের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানো তো দূরের কথা, ত্রিপল এবং শুকনো খাবারটুকুও পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, গ্রামে পৌঁছয়নি ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও। ফলে, প্রশাসনের ভুমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জলবন্দি প্রায় ২০ হাজার মানুষ।গ্রামবাসীদের দাবি, খুটাদহ, বটতলি, আদাডাঙা, সোনঘাট, তালভিটা, তালতলা, রাঙামাটি, হরিপাল পাড়া, সোনঘাটের মতো জলবন্দি গ্রামগুলিতে পৌঁছানোর সীমান্ত রোড, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা ছিল। গত, রবিবার রাস্তা দুটির প্রায় ৩০ জায়গায় ফাটল ধরেছে। জলের তলার রয়েছে খুটাদহ হাই স্কুল, বটলতি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুটাদহ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
অন্যদিকে,বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল এক কৃষকের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে মালদা জেলার হবিবপুর থানার(Habbibpur P.S.) মঙ্গলপুরা এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত ওই কৃষকের নাম গোপাল মন্ডল বয়স(৪৫)বছর। পরিবারের রয়েছে স্ত্রী কিলো মন্ডল এক ছেলে ও এক মেয়ে। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো আজ সকালে পরিবারের সদস্যরা জমিতে কাজ করতে যায়। বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যরা দেখে কৃষক অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাড়ির মেঝেতে। পাশেই পড়েছিল কীটনাশকের বোতল। সেই দেখেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ও কৃষককে নিয়ে যায় স্থানীয় বুলবুল চন্ডী আর এন রায় হাসপাতালে। সেইখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই কৃষককে। জরুরী বিভাগে ঐ কৃষককে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত কৃষকের পরিবারসহ গোটা এলাকায়।