নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরেই যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Eelction) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তা নিয়ে আরও একবার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। হিসাব মতো ২০২৩ সালে অর্থাৎ আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। যদিও সেই নির্বাচন ৬ মাস এগিয়ে আনার বা পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য সরকারের। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে। বুধবার রাজ্যের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুর(Durgapur) থেকে আবারও মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিলেন যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে। কার্যত স্পষ্টই তিনি বলেন, ‘যে কোনওদিন ইলেকশানের দিন ঘোষণা হতে পারে।’ সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকেই ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে উৎসব মরশুম শেষ হলেই সেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরেই সে ক্ষেত্রে হতে পারে ভোট।
এদিন দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে দুই বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে(Administrative Meeting) বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেন। এমনকি নিজে যে একসময় মাথায় ইট বয়ে রাস্তা সারিয়েচ্ছিলেন সেটিও জানান। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগেই রাস্তা তৈরি করুন। না হলে ভোট এসে যাবে, আর বসে ললিপপ খাবেন। বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগেই রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করুন। দেখবেন, রাস্তা দেখেই লোকে ভোট দিয়ে যাবে। পঞ্চায়েত সমিতি আর জেলা পরিষদ রাস্তা তৈরির কাজ করবে। কাজগুলো ঝটপট করুন, নইলে ইলেকশনে ললিপপ খাবেন। ইলেকশন যে কোনও দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। দরকারে নিজে মাথায় করে ইট বইবেন। আমিও নিজে ইট বইয়ে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছিলাম। পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে বলছি গ্রামীণ রাস্তা করতে হবে। ১৫ কমিশন থেকে যে অর্থ পান তা তার ৫০ শতাংশ রাস্তা তৈরিতে কাজে লাগান। অন্যান্য প্রকল্পগুলি আমরা দেখে নেব। গ্রামীণ রাস্তা খারাপ থাকলে কেউ ভোট দেবে না। ৫০ শতাংশ টাকা সেখানে খরচ করুন। গ্রামের রাস্তা ভালো থাকলে মানুষ খুশি হয়ে ভোট দেবে। প্রয়োজনে নিজে মাথায় করে ইট বইবেন। দেখবেন সাধারণ মানুষের জন্য এই কাজ করে ভালো লাগবে। আমি নিজে ইট বয়ে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছিলাম। প্রয়োজনে আমাকে ডাকবেন আমি আসব।’