এই মুহূর্তে

‘আর কত খাবে? এবার কি হিরের চচ্চড়ি নাকি সোনার ডালনা’, ক্ষুব্ধ মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: পিডব্লুউডি’র পরে এবার দলেরই জেলা পরিষদের(Zilla Parishad) কর্মাধ্যক্ষ। মঙ্গলবারের পরে এবার বুধবার। দুর্নীতি প্রশ্নে একইরকম ভাবে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বুধ দুপুরে ঝাড়গ্রামের(Jhargram) প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের সবার সামনেই তুমুল ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ফের সেই পূর্ত দফতরের টেন্ডার(Tender) নিয়ে অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এদিন সবার সামনেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘আর কত খাবে? এবার কি হিরের চচ্চড়ি নাকি সোনার ডালনা? তৃণমূল এত দিতে পারবে না।’

জানা গিয়েছে, এদিনের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ জানান ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের এক মহিলা কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর অভিযোগ ছিল জেলা পরিষদেরই দুই কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এই দুই কর্মাধ্যক্ষ হলেন পূর্ত(PWD) কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাতো এবং জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত। এই দুইজনের বিরুদ্ধে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে অভিযোগ জমা পড়ে তার মর্মার্থ হল, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের পূর্ত বিভাগের টেন্ডারে এই দুইজন কারসাজি করেন। তাঁদের মনমতো ব্যক্তি টেন্ডার না পেলে অন্তত ৭-৮ বার বরাত বাতিল করেন। আর এদিন এই অভিযোগ শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ শুনেই সাফ জানিয়ে দেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন জেলাশাসক।’ তবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এদিন যেভাবে আক্রমণ শানেন তা নিয়েই এখন হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অভিযোগ পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘আর কত খাবেন? এবার কি হিরের চচ্চড়ি নাকি সোনার ডালনা খাবেন? এত দিতে পারবে না তৃণমূল। অনেক পেয়েছেন। উজ্জ্বলের নামে আগেও অভিযোগ শুনেছি। এবার শেষবার সতর্ক করছি। না হলে গ্রেফতার করিয়ে দেব। আর শুভ্রা মহিলা হয়েও এত লোভ কীসের? এর পর নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে মেয়েটাকে ভয় দেখাবে না। আমিত্ব ছাড়। আমি-আমি নয় আমরা বলো।’

উল্লেখ্য গতকালও মেদিনীপুর শহরের বুকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে যে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানেও তিনি পূর্ত দফতরের কাজকর্ম নিয়ে সরব হন। বলেন, ‘পিডব্লিউডি-র বড্ড বেশি খাঁই। পিডব্লিউডি-র এত খাঁই কেন? কোনও কিছু করতে চায় না। করতে গেলেও এমন বাজেট ধরবে যে, বলার না। প্রথমে পাঁচ টাকা ধরবে। তারপর এক বছর পর রিকাস্ট করে বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো।’ ঘটনা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর চারদিনের এই জঙ্গলমহল সফরে সঙ্গী হয়েছেন রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দফতরের এই কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে অন্তত অরূপবাবুকে কিছু বলেননি। আর তা দেখেই অনেকে অনুমান করছেন মন্ত্রী তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রেখেছেন। কিন্তু দফতরের কেউ কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। তাতেই ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে দফতরের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালিতে ফের রাজনৈতিক পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ,সংঘর্ষ

হার নিশ্চিত দেখেই দিল্লিতে ছুট বিজেপি প্রার্থী বিস্তার

ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ তৃণমূলের

কাঁচড়াপাড়ার মুকুলের বাড়িতে আশীর্বাদ নিতে গেলেন অর্জুন সিং

‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’, দাবি ব্রাত্যের

‘একসঙ্গে জ্বালাবে’ লিখে আত্মঘাতী দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর