এই মুহূর্তে




নেপালের মতো পরিস্থিতি ভারতবর্ষে হবে,মোদি – অমিত শাহ জেনে রাখুন,হুংকার মমতা বালা ঠাকুরের

নিজস্ব প্রতিনিধি,চুঁচুড়া: নেপালের মতো ভারতবর্ষে হবে।মোদি অমিত শাহ জেনে রাখুক, মতুয়া ধর্মের বিভীষণ হচ্ছে ঠাকুর বাড়ির শান্তনু ঠাকুর(Santanu Thakur) ।বিস্ফোরক মমতা বালা ঠাকুর(Mamata Bala Thakur)।শুক্রবার চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালিতলা এলাকায় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ হুগলি ডাকে এসআইআর ও সিএএ এর প্রতিবাদে সভা করে ।সে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ ও মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্য মমতা বালা ঠাকুর। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এস আই আর প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে বলেন , কেন্দ্র সরকার একটার পর একটা আইন করে কিভাবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে গোলামে পরিণত করতে চাইছে। এতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ।

মতুয়া(Matua) সম্প্রদায়ের আইডোলজি বিজেপি ও আরএস এস(RSS)-এর সাথে মেলে না । আইনের মাধ্যম দিয়ে এরা ধ্বংস করতে চাইছে, একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এর বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ লড়াই করে এসেছে। ২০০৩ যে কালা কানুন তৈরি করেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী তখন ঠাকুরবাড়িতে ২০০৪ সালে অনশনে বসেছিলেন। বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের নেতৃত্বে এবং আমার স্বামীর নেতৃত্বে। আমার শ্বশুরমশায়ের প্রথম থেকে লড়াই ছিল যখন দেশভাগ হয় তখন থেকে তার লড়াই ছিল উদ্বাস্তুদের নিয়ে। তাদেরই কাজকে আমি এগিয়ে নিয়ে যাব। আমার জীবন থাকতে এ লড়াই চলবে। বিভিন্ন বিধানসভায় আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরপর লোকসভা এবং ১৯অক্টোবর বড়মার জন্ম উৎসবে রাত বারোটার পর তখন আমরা ঘোষণা করব কলকাতার বুকে আমরা কবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। প্রয়োজনে আমরা দিল্লি যাব।

আপনাদেরই পরিবারের ছেলে সান্তনু ঠাকুর তিনি চাইছেন এস আই আর হোক সে প্রসঙ্গে মমতা বালা বলেন, ভালো-মন্দ নিয়ে জগৎ বংশ যদি কুলাঙ্গার জন্ম নেয়, এই জাতিকে ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনে শান্তনু ঠাকুরকে নিয়েছে। মতুয়া ধর্মের বিভীষণ হচ্ছে ঠাকুর বাড়ির শান্তনু ঠাকুর। তাকে নিয়ে ধ্বংসলীলা শুরু করেছে আরএসএস এবং বিজেপি। আর তার জবাব মতুয়াদা দেবে। মতুয়ারা কোন ফর্ম ফিলাপ করবে না। জোর করে বাগদায় একজনকে করিয়েছে। বিজেপি ছলেবলে কৌশলে তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। বিল পাস করার পর তারা ভেবেছিল মানুষ ফরম ফিলাপ করবে কিন্তু করেনি বলে সেটাকে ঘুরিয়ে হিন্দু কাড করা শুরু করেছে। মতুয়াদের বলব সি এএ তে এপ্লাই করতে গেলে চারপাশটা ধর্মের কথা উল্লেখ করেছে। সেখানে মতুয়া ধর্মের কোন উল্লেখ নেই। মুসলিম নেই মতুয়া নেই। তাহলে মতুয়ারা কোন পর্যায় পড়ে। মোহন ভাগবত তিনি নিজেই বলছেন হিন্দু কোন ধর্ম নয় ।সেখানে হিন্দু কার্ড কি করে দেয়। বিজেপি মিনিস্টাররা নিজের বাড়িতে ক্যাম খুলে কিভাবে ফ্রম দেয় এবং বিপুল পরিমাণে টাকা তুলছে । সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে তার হিসেব কোথায় তারমানে নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহ সেই রাস্তা খুলে দিয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্নভাবে ফাঁদ পাচ্ছে আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য। এর প্রতিবাদ হচ্ছে হবে।এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এতদিন কেন করেনি। ২৬ এর বিধানসভা ভোটের আরো কয়েক মাস বাকি রয়েছে।

তারা ভাবছে এটা করে আমরা ভোটে জিতব। মানুষ এটা বুঝতে পারছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে আমি বিভিন্ন জায়গায় গেছি। হিন্দু না মুসলিম বোঝাতে জামা প্যান্ট খুলতে হচ্ছে এটা কোন স্বাধীন দেশে আমরা বাস করছি। ইংরেজকে তাড়িয়েছি কিন্তু তার থেকেও আমরা এখন পরাধীন এ দেশে। তাহলে কি বিজেপি এসে গোলাম তৈরি করবে আমাদের? আমরা কি খাব, কি ভাষা বলব সেটা কি তারা ঠিক করবে। বাংলা ভাষা বললেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এর কোনো প্রতিবাদ হবে না। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে এর উত্তর মানুষ দেবে। পরিবার থাকলে সমস্যা হবে সঠিক কোনটা সেটা মতুয়াদের বেছে নিতে হবে। আইন করেছে বিজেপি, তৃণমূল করেনি। আমরা চাই কোন শর্ত থাকবে না। আইন পরিবর্তন করে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। আগামীতে নেপালে কি হয়েছে দেখেছেন তো চ্যালেঞ্জ করে বলছি ভারতবর্ষ(India) সেটা হবে। মোদি অমিত শাহ সেটা যেন জেনে রাখে। আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করব বাধা দেওয়ার। মানুষকে এইভাবে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে না । একজনেরও নাগরিকত্ব বাতিল গেলে আমরা তাদের পাশে থাকব।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের ভিড় বাড়ছে

এবার রবিবারেও মিলবে কল্যাণী ,কৃষ্ণনগর এসি লোকাল ট্রেন ঘোষণা পূর্ব রেলের

শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে উদ্ধার ৪ নাবালিকা, টাকার লোভ দেখিয়ে পাচারের অভিযোগ

উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার মহম্মদ সহরাব রিপন স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার

SIR ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে কলকাতা পিছিয়ে, দ্রুত কাজ শেষ করতে সময়সীমা নির্ধারিত করল কমিশন

বনগাঁয় সন্দেহজনক ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে এল মৃত মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড়

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ