নিজস্ব প্রতিনিধি: সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর(Gangasagar Mela) একবার। সেই প্রবাদ আজ শুধুই অতীত মাত্র। কেননা এখন সারা বছর ধরেই এই পূণ্যভূমিতে যাওয়া যায়। সেই সুব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলার ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। বাংলায় পরিবর্তনের পর থেকে প্রতি বছর সেই গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও তার আসার কথা ছিল ৩ জানুয়ারি। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে সেই সফর পিছিয়ে এদিন অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি করা হয়। সেই সূত্রেই এদিন গঙ্গাসাগরে চলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধন করেছেন সাগর ব্লকের(Sagar Block) জন্য পানীয় জল প্রকল্পেরও(Drinking Water Supply Project)। তারপরেই ভারত সেবাশ্রম আশ্রমে(Bharat Sevasram Ashram) স্বনির্ভর প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তীর্থকর(Pilgrimage Tax) মকুবের কথা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে জানান, ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সব পুণ্যার্থী মেলায় আসবেন তাঁদের প্রত্যেকের জন্য থাকছে ৫ লক্ষ টাকার বিমা(Insurance for Every Pilgrim)।
এদিন মমতা সব থেকে বেশি তুলে ধরেন গঙ্গাসাগর মেলার পরিকাঠামোর বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘গঙ্গাসাগরে আগে কিছুই ছিল না। আমাদের সরকারের আমলে সব পরিকাঠামো রয়েছে। কেননা আমরা সেটা তৈরি করেছি। গঙ্গাসাগরে ৩টি হেলিপ্যাড স্টেশন করা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে কাউকে দ্রুত কলকাতায় নিয়ে যাওয়া যায়। আবার হেলিকপ্টারে চড়ে যাতে পুণ্যার্থীরা আসতে পারেন সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এবারের মেলায় আড়াই হাজার বাস, ১০০টি লঞ্চ, ২১টি জেটি ও সেতু ব্যবহার করা হবে। কচুবেড়িয়া ও কাকদ্বীপে গেট তৈরি করা হয়েছে। ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সব পুণ্যার্থীরা আসবেন তাঁদের সকলের জন্য জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা থাকছে। আমরা তীর্থকরও মকুব করে দিয়েছি। মেলা উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে কপিল মুনির আশ্রম। কেননা আমরা ৮ কোটি টাকা খরচ করে সাগরমেলায় আলোকসজ্জা করেছি। চিকিৎসার জন্য ৩০০ শয্যা ও গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ICU -এর ব্যবস্থা থাকছে, সেই সঙ্গে থাকছে পর্যাপ্ত নার্স প্যারামেডিক্স। কিন্তু মনে রাখবেন এই মেলার আয়োজনের জন্য কেন্দ্রের সরকার আমাদের ১টা পয়সাও দেয় না। এক পয়সা দিয়েও সাহায্য করে না কেন্দ্র।’