নিজস্ব প্রতিনিধি: পর পর ২ দিন হানাদারি হয়েছে হেলিকপ্টারে(Helicopter)। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) ভাড়া করা হেলিকপ্টারে। সেই হেলিকপ্টার করেই প্রচারে যাচ্ছেন অভিষেক। গতকাল সকালে সেই হেলিকপ্টারে তল্লাশি(Search Raid) চালাতে চলে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। আর এদিন আসেন নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের আধিকারিকেরা। দুইদিনই কিছুই পায়নি। তবে এদিন সেই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন কোচবিহারের জনসভা থেকে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভোটের আগে দুয়ারে দুয়ারে সিবিআই, ইডি পাঠাচ্ছে। আইটি পাঠাচ্ছে। গতকাল অভিষেকের কপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছে। ওখানে কী পাবে ভেবেছিল? সোনা? আমরা ওসব করি না। আমাদের টাকা, সোনা নেওয়ার দরকার নেই। কোনও দরকার হলে আমরা মায়ের কাছে হাত পাতব। অভিষেকের কপ্টারে নাকি সোনা আর টাকা আছে। আমরা ও সব নিয়ে ঘুরি না। ওটা বিজেপি করে। কী ভেবেছিল? কপ্টার থেকে টাকা পাবে? কোনওদিন কোনও বিজেপি নেতার কপ্টারে তল্লাশি চালানোর সাহস হয়েছে? হবেই বা কী করে! ওদের টাকাপয়সা প্লেনে আসে। সেখানে BSF, CISF আছে যে।’
উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতার বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে যখন অভিষেকের ভাড়া করা হেলিকপ্টারের ট্রায়াল রান চলছিল, সেই সময়েই সেখানে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। অভিযোগ কপ্টারে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময়ে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। কপ্টারের ভিতরে রাখা প্রতিটি ব্যাগ খুলে দেখেন তাঁরা। কিন্তু হেলিকপ্টারের ভিতরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও শেষ পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি। শেষে কিছু না পেয়ে হতাশ এবং বিরক্ত আয়কর আধিকারিকেরা হেলিকপ্টারটিকে আটকে রেখে দেন। ওড়ার অনুমতি চাওয়া হলেও দেওয়া হয়নি। পরে এ নিয়ে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসাও হয় আয়কর আধিকারিকদের। তৃণমূলের অভিযোগ, বচসা চলাকালীন অভিষেকের কপ্টারটি বেআইনি ভাবে আটকে রাখার হুমকিও দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা।
গতকালের ওই ঘটনার পরে এদিন আবারও দুপুরে সেই একই জায়গায় হানা দেয় নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে দাঁড়িয়েছিল অভিষেকের ভাড়া করা ওই হেলিকপ্টার। সেই সময় একটি গাড়িতে চেপে কমিশনের তিন প্রতিনিধি সেখানে যান। গাড়িটিতে ‘Election on duty’ লেখা ছিল। তিন প্রতিনিধির এক জন জানান, তাঁদের সেখানে যেতে বলা হয়েছে এবং দেখতে বলা হয়েছে। তবে এর অতিরিক্ত কিছু জানাননি ওই তিন জন। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারে করে অভিষেক যাতে নির্বাচনী প্রচারে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় যেতে পারেন তার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। গতকালের ঘটনার পরেই অভিষেক ট্যুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘NIA-র DG এবং SP-কে সরানোর বদলে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি আজ তাঁদের ধামাধারী আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালাতে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ কিছুই পাওয়া যায়নি। জমিদাররা যতই বাংলায় বলপ্রয়োগ করুক না কেন বাংলার প্রতিরোধকে দুর্বল করা যাবে না।’ এদিন অবশ্য তিনি এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও ট্যুইট করেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন মমতা নিজে।