নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) চা বলয়ের কয়েক লক্ষ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কথা ভেবে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্রেশ তৈরির পথে হাঁটা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই কর্মকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক সূচনাও হয়েছে সম্প্রতি। একই সঙ্গে নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্রেশগুলি চালানোর জন্য লোক নিয়োগের পথে এগবে রাজ্যের শ্রমদফতর(Labour Department)। এজন্য একটি পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছে তাঁরা। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১২৫০জনের কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের চা-বলয়ে(Tea Garden Area)। ফি বছর এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ২৭ থেকে ৩০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন অভিষেককে নয়া নোটিস, ল্যাজ গুটিয়ে পালালো CBI
রাজ্যের শ্রমদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের চা বলয়ের সঙ্গে যুক্ত চারটি জেলা মিলিয়ে ৭১টি ক্রেশ তৈরি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র হবে ৪৪টি। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে এগুলির জন্য কিছু চা বাগানকে চিহ্নিত করেছে শ্রম দফতর। আধুনিক মানের ক্রেশ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতি ১ একর করে জমি দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষদের। ইতিমধ্যে অনেক বাগান কর্তৃপক্ষ সাগ্রহে তাঁদের আগ্রহ দেখিয়ে এই প্রকল্পের জন্য। ওই ৪টি জেলার জেলাশাসকদের এবিষয়ে দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে। ক্রেশ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে। তাঁরা টেন্ডার ডাকার কাজও সেরে ফেলেছে। প্রথম দফায় গোটা প্রকল্প মূল্যের ৪০ শতাংশ টাকা অগ্রিমও পেয়েছে তাঁরা। উল্লেখ্য, রাজ্যের শ্রমদফতরের তত্ত্বাবধানে চলা নির্মাণ শ্রমিকদের কল্যাণ বোর্ডের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে এই টাকা খরচের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন দুয়ারে সরকারে মাত্র ১৪৪টি আবেদন Student Credit Card’র
ঠিক হয়েছে, মহিলা শ্রমিকদের শিশুসন্তানদের দেখভালের জন্য তৈরি হওয়া ক্রেশগুলি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে এলাকার কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। ১০ জন সদস্য বিশিষ্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ, বাচ্চাদের জলযোগ ও অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফি মাসে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে বোর্ড। সব মিলিয়ে ৭১টি ক্রেশ চালানোর খাতে ৭১০ জন মানুষের কর্মসংস্থান বাবদ বছরে ১০ কোটি ২১ লক্ষ টাকা খরচের অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড। একইভাবে ৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও নার্স সহ মোট ৫২৮ জন লোকের রুজির ব্যবস্থা হতে চলেছে।