নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও দুর্ঘটনার(Accident) মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন তিনি গিয়েছিলেন বর্ধমান শহরে(Burdwan Town) সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। কলকাতা থেকে তিনি হেলিকপ্টারে করে বর্ধমানে গেলেও খারাপ আবহাওয়া থাকার জন্য তিনি সড়ক পথেই কলকাতায়(Kolkata) ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সেই ফেরার পথেই সভার মাঠ থেকে বড় রাস্তায় ওঠার সময় মুখ্যমন্ত্রী যে গাড়িতে বসেছিলেন তার চালক আচমকাই ব্রেক কষেন। ঝাঁকুনিতে মমতা কপালে(Forehead) সামান্য চোট পান। যদিও পরে সেই গাড়িতেই তিনি কলকাতার দিকে রওয়ানা দেন। সূত্রের খবর, কপালে চোট লাগা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী সামান্য জখম হয়েছেন। উলেক্ষ্য এর আগেও উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে প্রচারে গিয়ে তাঁর হেলিকপ্টার দুর্যোগের মুখে পড়েছিল। কার্যত সেবার বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তাঁর পায়ে ও কোমরে চোট লাগে। পরে স্পেনে গিয়েও ফের পায়ে চোট পান তিনি। আর এবার তাঁর চোট লাগল কপালে।
এদিন বর্ধমান শহরে গোদার মাঠে সরকারি সভা শেষ হওয়ার পর সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সঙ্গে ছিল কুয়াশাও। সভাস্থল থেকে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে ওঠেন তাঁর গাড়িতে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে চালকের পাশের আসনে উঠে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ি এগোতে থাকে জি টি রোডের দিকে। জি টি রোড সভাস্থলের চাইতে কিছুটা ওপরে। ফলে চালককে গাড়ির গতিবেগ বৃদ্ধি করতে হয়। আবার জি টি রোডে উঠে গতি কমাতে হয়। দুর্যোগের মধ্যে তা করতে গিয়ে গতির হেরফেরে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চালক আচমকা ব্রেক কষেন। তাতেই ঝাঁকুনিতে মমতার কপাল গিয়ে ঠেকে গাড়ির সামনের দিকে। কপালে সামান্য আঘাত পান মমতা। তার জেরে নিজের কপালে একটি রুমাল জড়িয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত সরকারের কেউ স্বীকার করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে নানা মহলে। দেখার বিষয় এই বিষয়ে রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কিছু জানানো হয় কিনা।
যদিও কিছু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এদিন সভাস্থল থেকে জি টি রোডে ওঠার সময়ে আচমকা একটি গাড়ি তাঁর কনভয়ের মধ্যে ঢুকে যায়। তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চালক আচমকাই ব্রেক কষতে বাধ্য হন। তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর কপাল ধাক্কা লাগে গাড়ির সামনের দিকের কাঁচে। এবার তার জেরে প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে কেন এতটা অগোছালো ভাব! কীভাবে অন্য একটি গাড়ি কনভ্যের মধ্যে ঢুকে গেল? পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা কী করছিলেন তখন? কেন সেই সময় জি টি রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি? যদিও এই সব প্রশ্নের উত্তর যে খুব তাড়াতাড়ি মিলবে এমনটা মোটেও মনে করা যাচ্ছে না। দেখার বিষয় রাজ্য সরকার বা তৃণমূলের তরফে এই নিয়ে কিছু জানানো হয় কিনা।