নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূমের মাটিতে প্রচারে গিয়ে মঙ্গলবার নাম না করেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমার হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের কড়কড়িয়া গ্রামে দলের নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ৩ বারের তৃণমূল(TMC) সাংসদ এবং এবারের দলের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের হয়েই এদিনের এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা থেকেই এদিন তিনি নাম না করেই নিশানা বানিয়েছেন শুভেন্দুকে। আর সেটাও কোন প্রসঙ্গে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) বাড়ি ও তাঁর অফিসের সামনে রেইকি করার অভিযোগে মুম্বই থেকে কলকাতা পুলিশের(Kolkata Police) হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজারাম রেগের(Rajaram Rege) প্রসঙ্গে।
কী বলেছেন এদিন মমতা? এদিন শুভেন্দুর নাম না করেই মমতা বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপির এক গদ্দার বললেন বোমা ফাটাব। আরে বোমা ফাটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর রাগ হয়তো মেরে দে। অভিষেককেও তো খুন করতে গিয়েছিলি, ধরে ফেলেছিলাম আমরা। কী ভাবে করেছিলি… তার বাড়ি পর্যন্ত রেইকি করেছে। ফোন করেছে, আপকা সাথ বাত কর না চাহতা হুঁ বলে সময় দিলেই গুলি করে দিয়ে পালিয়ে যেত। এরা চায় যারা ওদের বিরুদ্ধে তথা বলে, তাদের মেরে দাও, তাদের জেলে ভরে দাও, তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দাও। আসলে তৃণমূলকে ভয় পায় বিজেপি। মিথ্যেবাদীদের দল বিজেপি, বিভাজনের রাজনীতি করে বিজেপি। এখন ভয় দেখানোর খেলা চলছে।’
উল্লেখ্য, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি এবং অফিসের সামনে রেইকি করার অভিযোগে রাজারাম রেগে নামে এক ব্যক্তিকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। গতকালই তাঁকে কলকাতায় আনা হয়েছে। ধৃত রাজারামকে আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। রাজারাম রেগে কোনওভাবে তৃণমূলের শীর্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করার চেষ্টা করছিলেন কি না, কিংবা রেইকির পিছনে তাঁর ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃতকে। সেই নিয়েই এদিন বীরভূমের সভা থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।