নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিতে সাম্প্রতিক অশান্তি পরিকল্পিত চক্রান্ত বলেই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের উপরে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আর বাজেট বিতর্কের শুরুতেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে বাইরে থেকে লোক নিয়ে গিয়ে অশান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। রাজ্যের বদনাম করতে গিয়ে মুখে কাঁপড় বেঁধে অভিযোগ করেছে বিজেপি কর্মীরা। বেশ কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে। সন্দেশখালিতে ঝামেলা পাকানোর জন্য মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ রাজ্য সরকার কোনও অন্যায়কারী কিংবা নির্যাতনকারীকে রেয়াত করবে না বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য এবং শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য বিজেপি বান্ধব সংবাদমাধ্যমকেও নিশানা করেন তিনি।
রাজ্য বাজেট নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে শুরুতেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার তফশিলি এবং আদিবাসীদের পাশে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ শাহজাহানকে টার্গেট করে ইডি ঢুকিয়ে দিল। তার পর মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দিচ্ছে। আদিবাসীদের সঙ্গে মুসলিমদের সঙ্ঘাত বাঁধানো হয়েছে।’ সন্দেশখালিতে সাম্প্রতিক অশান্তির পিছনে আরএসএসকেও বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘সন্দেশখালিতে আরএসএসের একটা ঘাঁটি রয়েছে। অনেকদিন ধরেই এলাকায় সক্রিয়। সাত বছর আগেও গন্ডগোল হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অশান্তির সময়ে সন্দেশখালিতে ঘাঁটি গেড়েছিল বহিরাগতরা। পুলিশ ধরপাকড় শুরু করতেই ল্যাজগুটিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে ওই বহিরাগতরা। আর বহিরাগতরা পালাতেই এলাকায় ফিরেছে শান্তি। গতকাল বুধবারও এলাকায় অশান্তি বাঁধানোর দায় সিপিএম-বিজেপির কাঁধে চাপিয়েছেন সন্দেশখালির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা।