নিজস্ব প্রতিনিধি: গোটা দেশজুড়েই ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে শিক্ষক দিবস(Teachers Day) হিসাবে পালন করা হয়। কেননা সেদিন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন। একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক এই শান্ত মানুষটি ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী ছিলেন। জীবনে কোনও পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় হননি। সেই মানুষটির স্মরণে এবং বাংলার শিক্ষকদের সমাজ গঠনের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) রাজ্যে ‘শিক্ষকরত্ন’(Shikkak Ratna) পুরস্কার চালু করেন। এইবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আগামী ৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ৫২ জন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রদান করবেন। সেই সঙ্গে এই বছর ১৩টি সেরা স্কুলকেও(Best Schools) সম্মানিত করা হবে।
জানা গিয়েছে, যে ৫২জন শিক্ষককে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রদান করবেন তাঁদের মধ্যে ১২ জন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ২৫ জন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক এবং ১৫ জন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক রয়েছেন। প্রায় সব জেলা থেকেই এক বা দু’জন করে শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদের কেউ স্কুলের পরিবেশ বদলেছেন, কেউ আবার স্কুলছুটদের করেছেন স্কুলমুখো। তারই পুরস্কার হিসেবে তাঁদের শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার প্রাপক শিক্ষকদের ২৫ হাজার টাকার চেকসহ অন্যান্য উপাহার থাকছে। সেরা স্কুলগুলি এক লক্ষ টাকা করে পাবে। যেসব স্কুলকে এবার পুরস্কৃত করা হবে, সেগুলির মধ্যে একাধিক জেলার রামকৃষ্ণ মিশনও রয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেরা স্কুলের পুরস্কারের হ্যাট্রিক করতে চলেছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। কেননা ২০১৭ ও ২০২১ সালেও এই পুরস্কার পেয়েছিল তাঁরা। এবারেও তাঁরা সেই পুরস্কার পেতে চলেছে।
এদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার যে সব স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও পড়ুয়া নেই সেই সব স্কুলগুলি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। কেননা, পূর্ব বর্ধমান জেলার জোতগ্রাম সাতগাছিয়া বাজার জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা পার্বতী আঁশ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁর বদলি চেয়ে। বদলির কারণ হিসাবে তিনি জানান, ওই স্কুলে কোনও পড়ুয়াই নেই। তাই তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বদলির জন্য। কেননা তিনি নিয়মিত বেতন পান। কিন্তু সেই আবেদনে কোনও সুরাহা না হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়েছেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে। মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানিতে উঠেছিল। সেখানেই জেলা স্কুল পরিদর্শককে আদালত নির্দেশ দেয়, জেলায় এমন কতগুলি স্কুল রয়েছে, যেখানে পড়ুয়া নেই অথচ শিক্ষক রয়েছেন, সেই তালিকা ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দিতে হবে। সেইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।