এই মুহূর্তে




দুর্যোগ মোকাবিলায় নজর রাখতে রাতে নবান্নেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’(Cyclone Dana) ওড়িশার বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে। সেই হিসাবে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে চলেছে প্রভু জগন্নাথের রাজ্যেই। তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা লাগতে চলেছে বাংলার(Bengal) বুকেও। বিশেষ করে রাজ্যের দুই উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সম্ভব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপকূলের থানাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ঘন ঘন মাইকিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানিয়ে দিলেন, তিনি এদিন রাতে নবান্নেই থেকে যাচ্ছেন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে।  

আরও পড়ুন, মহিলার শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় কলকাতা পুরনিগমের বাম সমর্থিত সংগঠনের সদস্য

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘মানুষের জীবন হল সব চেয়ে দামী। মানুষের জীবন রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাকব। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন। যে আধিকারিকেরা রাতে নবান্নে(Nabanna) থাকবেন, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলি থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে সকলে এখনও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেননি। এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৭ জন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পরবর্তীতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আসবেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৫১টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। নবান্নে সর্বক্ষণের হেল্পলাইন(Helpline) চালু থাকবে। তার নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬। পাশাপাশি জেলাগুলিতেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। আমি আজ সারা রাত নবান্নে নিজের দফতর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবো। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। সবাই সতর্ক থাকুন। গুজবে কান দেবেন না। কুৎসা করবেন না।’

আরও পড়ুন, ‘যশ’র স্মৃতি ‘ডানা’য় ভর দিয়ে ফিরতে পারে দিঘায়, নজরে জলোচ্ছ্বাস

উল্লেখ্য, দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে রাজ্যের ৯ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনা , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের এই ন’টি জেলার সব স্কুলে ছুটি থাকবে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কারণে বাংলার উপকূলবর্তী দুই জেলা— পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রভাব পড়তে পারে কলকাতাতেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়তে পারে গাছ এবং শুকনো ডাল। রয়েছে কুঁড়েঘর, টালির চাল প্রভৃতি উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। দমকা হাওয়ায় ক্ষতি হতে পারে কলা, পেঁপের মতো গাছের। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। কাঁচা ও পাকা দু’ধরনের রাস্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে শহরের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহিলাদের নিরাপত্তা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক জেলাশাসকের

শান্তিপুর ফুলিয়ার বসাক বাড়ির কাত্যায়নী পুজো ঘিরে আনন্দে মাতোয়ারা সকলে

বাংলাদেশে চ্যাংড়া ছাত্র নেতাদের হাতে ক্ষমতা , শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কোথা থেকে: দিলীপ ঘোষ

বাগনান ও আমতা থেকে উদ্ধার বিলুপ্ত নয় ও চার কেজির দুটি বিশালাকার ময়ূরী কাছিম

রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের ওপরে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

‘ভারত বিদ্বেষী’ বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ দার্জিলিংয়ের হোটেলের দরজা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর