নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে কর্মসংস্থানে জোয়ার আনতে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) ৩টি জেলায় ২টি শিল্পপার্ক(Industrial Park) ও একটি বড় পাইকারি বাজার(Wholesale Market) তৈরির কাজে হাত দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার(Haldia) বুকে এবং নদিয়া জেলার হরিণঘাটায়(Haringhata) দুটি নতুন শিল্পতালুক গড়ার কাজ শুরু করছে রাজ্যের শিল্পদফতর। এর পাশাপাশি হুগলি জেলার সিঙ্গুরের(Singur) বুকে ইন্দ্রখালিতে এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার গড়ে তুলতে চলেছে পোস্তার ব্যবসায়ী সমিতি। সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন ফিরহাদেই আস্থা মমতার, পাঠাচ্ছেন মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুনতে
জানা গিয়েছে, হলদিয়া ও হরিণঘাটায় রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম দু’টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পরিকাঠামো তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। হলদিয়ায় ৩০৬ একর জমির ওপর ওই পার্ক তৈরি হবে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক, রেল সংযোগের পাশাপাশি বন্দরের সুবিধা থাকায় সেখানে নতুন শিল্প তালুক গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, হরিণঘাটায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ৩৫৮ একর জমির ওপর তৈরি হবে শিল্পতালুক। এখানে আলো, জল, রাস্তাসহ সব ধরনের পরিকাঠামো গড়ে দেবে রাজ্য। আবার সিঙ্গুরের ইন্দ্রখালিতে এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার গড়ে উঠতে চলেছে। ৩২০ বিঘা জমির ওপর এই পাইকারি বাজার গড়ে উঠবে। পোস্তার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে এই বাজার গড়ে উঠলে আগামী দিনে কলকাতা মহানগরী যানজট মুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার তৈরি হলে এখানে প্রায় দেড় থেকে ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বহু আড়ত তৈরি হবে। তাতে এলাকাবাসী কাজ পাবেন। তিন শিফটে সেখানে কাজ হবে। বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা এলে তাদের জন্য অত্যাধুনিক রেস্ট হাউস তৈরি হবে।
আরও পড়ুন ‘গ্রামবাংলার মতামত’ নেওয়ার কমিটি গড়ে দিল তৃণমূল
সিঙ্গুরে এই পাইকারি বাজার তৈরি হলে কলকাতার পোস্তার পুরো বাজারটাই চলে আসবে সিঙ্গুরে। সেক্ষেত্রে সিঙ্গুরের অর্থনৈতিক মানচিত্রটাই অনেকটা বদলে যাবে। কলকাতায় তখন বড় গাড়ি ঢুকবে না। ফলে কলকাতা মহানগরীর ওপর থেকে চাপ কমে যাবে। গোটা মহানগরী যানজটমুক্ত হবে আগামী দিনে। পোস্তা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এই পাইকারি বাজার গড়ে তোলা হলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তা, জল, বিশ্রামাগার, ফায়ার ব্রিগেডের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক লেনদেনের সুবিধার জন্য এখানে এটিএম কাউন্টার ছাড়াও ব্যাংকিং পরিষেবা থাকবে বলে জানা যায়। বর্তমানে ৩২০ বিঘার ওপরে এই পাইকারি বাজার গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকলেও আগামী দিনে এর পরিধি বাড়তে পারে কারণ ইতিমধ্যেই আরও অনেক কৃষক তাঁদের জমি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।