এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৩৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের পথে রাজ্য সরকার

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এখন স্পেনে(Spain)। বাংলার জন্য লগ্নী টানতে গিয়েছেন তিনি। সেখানে ‘টেম্পে গ্রুপো ইন্ডিটেক্স বা জারা’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক হয়। সেখানেই তাঁদের বাংলায়(Bengal) বিনিয়োগের আহ্বান জানান মমতা। তাতে সাড়া দিয়ে বড়দিনের আগেই কলকাতায় লগ্নি করতে চলেছে ওই সংস্থা। এরজন্য জারা ও তাঁদের সহযোগীদের সহজ শর্তে ১০০ একর জমি দেওয়ার কথা হয়েছে।  স্প্যানিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘লা লিগা’র প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার তেভেজের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও(Sourav Ganguly)। বৈঠক শেষে ‘লা লিগা’র সঙ্গে বাংলায় ফুটবল অ্যাকাডেমি গড়া নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আবার স্পেনের প্রকাশনা শিল্পকে বাংলার সঙ্গে জুড়তে সেখানকার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের দুই কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও সুধাংশু দে। আর এই সবের মাঝে বাংলার বুকে ৩৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী(Anganwadi Workers) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

                                 

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শূন্যপদ পূরণের জন্য কর্মী ও সহায়িকা মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার পদে নিয়োগ হবে। জেলাস্তর থেকে হবে চূড়ান্ত নিয়োগ। এর জন্য বেশিরভাগ জেলায় রয়েছে ‘সিলেকশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’। ওই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের চেয়ারপার্সন এবং বিধায়কদের ভাইস চেয়ারপার্সন ও মেম্বার কনভেনর করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে কর্মী ও সহায়িকা থাকেন। সেই হিসেবে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার কর্মী ও ২১ হাজার সহায়িকার পদ শূন্য রয়েছে। এই শূন্যপদগুলি ধাপে ধাপে পূরণ করার লক্ষ্যে এগচ্ছে রাজ্য। রাজ্য সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সব শূন্যপদ পূরণ করতে চায়। তবে অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মে কেন্দ্র কিছু বদল এনেছে। সেই বদলগুলি জনবিরোধী বলে মনে করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের তরফেও কেন্দ্রকে বার্তা দেওয়া হয়েছে আগের নিয়ম বলবৎ রাখার জন্য। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে রাজ্যকে এখনও কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।

সম্প্রতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি পাওয়ার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করেছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে কর্মী ও সহায়িকা—উভয় পদের জন্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক করা হয়েছে। আগে সহায়িকাদের জন্য অষ্টম শ্রেণি এবং কর্মীদের জন্য মাধ্যমিক পাশ আবশ্যিক ছিল। কেন্দ্রের নয়া নিয়মে বহু প্রান্তিক মানুষ কাজ পাওয়ার সুযোগ হারাবেন বলে আশঙ্কা রাজ্য সরকারের। পাশাপাশি যে নতুন নিয়োগের পথে রাজ্য সরকার হাঁটা দিচ্ছে সেখানে কেন্দ্রের নিয়ম লাগু হলে অনেকেই আর আবেদনই করতে পারবেন না। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরলে এই নিয়োগের যোগ্যতামান নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক হবে। যদি সেখানে পুরাতন নিয়ম লাগু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নতুন করে নিয়োগ হতে চলা কর্মী ও সহায়িকাদের বেতন রাজ্য সরকারই বহণ করবে। আর যদি কেন্দ্রের নিয়ম মেনে নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রের তরফেই বেতন দেওয়া হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘হাম ভি কৌশিস করে গা!’ কিয়া করেগা?’ মোদিকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা

সেলিমকে তুড়ি মেরে তৃণমূল ভরসা রাখছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ওপরেই

ভোট পর্বের মাঝে সিপিএমের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলল তৃণমূল

দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস, জারি হল সতর্কতা

মুড়ি- ঘুগনি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূলের  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর