নিজস্ব প্রতিনিধি: লড়াই শুধু রাজনীতির(Politics) ময়দানেই নয়, লড়াই উন্নয়নের(Development) মাঠেও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের(Nishith Pramanik) জেলা কোচবিহার(Coachbehar) জেলায় বিজেপির উত্থানে অনেকটাই জমি হারিয়ে ফেলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই হারা জমি ফেরাতে জোড়াফুল শিবির জোর দিচ্ছে জেলার উন্নয়নের ওপরেই। এমন উন্নয়ন যা জেলাবাসীর নিত্যদিনের ওঠাবসায় কাজে লাগে। আর সেই সূত্রেই ৪৫ কোটি টাকায় জেলার ৩৫০টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের(Sub-Health Center) উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। ওই সব উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে কার্যত জেলার গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও সুসংহত করে তোলার লক্ষ্যেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন মমতার বাংলায় রেশন কারচুপি রুখতে E-PoS’র সঙ্গে বিশেষ মেশিন
কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে, জেলার বুকে নতুন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরনো উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকায় এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি সংস্কার ও গড়ে তোলার কাজ চলছে। এই ৩৫০টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও জেলার বাকি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যও আগামী দিনে কাজ করা হবে। জেলার গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে যে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বেহাল অবস্থায় রয়েছে, সেগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। নতুন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রও হচ্ছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। জেলায় মোট ৪০৬টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিছু দিন আগে জেলায় আরও ৩৫টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র নতুন করে গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়। মোট ৪৪১টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫০টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ৭০টিতে নতুন করে ভবন গড়ে তোলা হবে। অনেক জায়গায় ইতিমধ্যেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় সেই কাজ চলছে।
আরও পড়ুন ৬৪২টি স্কুলের ১৭৩৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে Show Cause
কোচবিহার জেলার এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা ও সংস্কারে আরআইডিএফ, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পাওয়া গিয়েছে। জেলায় বিগত দিনে যে ৪০৬টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল, তার মাধ্যমে জেলার সমস্ত গ্রামীণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উপর চাপ সৃষ্টি হতো। অনেক জায়গায় আবার একএকটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থানীয় এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিল। সেই কারণে আরও ৩৫টি নতুন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। আগামী দিনে সমস্ত উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তর করা হলে, জেলার গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।