নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবন এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য Sundarban Master Plan তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। বিশ্বব্যাঙ্কের(World Bank) আর্থিক সহায়তায় রাজ্যের ৮টি দফতরের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে এই প্রকল্প। এই কাজের রূপরেখা এবং খরচ ঠিক করতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে প্রতিটি দফতরকে আলাদা আলাদাভাবে প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন(Nabanna)।
আরও পড়ুন ভোটের কাজে যুক্ত না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
গত বছরের মাঝামাঝি সময়েই Sundarban Master Plan-এর বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে রাজ্য সরকার। কথা হয় বিশ্বব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি Workshop-ও হয় গত আগস্ট মাসে যার ওপর ভিত্তি করেই সেচ, কৃষি, কৃষি বিপণন, ক্ষুদ্র সেচ, সুন্দরবন উন্নয়ন, বন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর প্রাথমিকভাবে নিজেদের পরিকল্পনা জমা দেয়। ওই সব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সুন্দরবন এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য, তাঁদের সুরক্ষা, বাঁধ মেরামতি এবং আয় বৃদ্ধির প্রস্তাব। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য আনুমানিক ১৯,৪৭০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। যার প্রায় ৭০ শতাংশই সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে দেবে বিশ্বব্যাঙ্ক। বাকিটা দেবে রাজ্য। এবার দ্রুত এই কাজ শুরুর উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন ৭ হাজার ১০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে Stamp Duty
তবে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সব দফতরের প্রস্তাব পুনর্মূল্যায়ন করা হোক। কেননা পুনর্মূল্যায়ন করলে মোট খরচ অনেকটাই কমবে। সেই সময় গড়ে হিসেব করা হয়েছিল। যে কারণে প্রকল্প খরচ ১৯ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাঙ্ক সহজ শর্তে ঋণ দিলেও তা পরিশোধ করতে হবে রাজ্যকে। ফলে রাজ্যকে অকারণে খরচ বাড়াতে হবে যা মুখ্যমন্ত্রী একদমই চান না। যেটুকু প্রয়োজন, শুধুমাত্র সেটাই ঋণ হিসাবে নেওয়া হবে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে। পুনর্মূল্যায়ন শেষে দফতরগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিলে প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে যাবে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই চেষ্টা করা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এই খরচ ধরে রাখতে।