এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপির ইস্তেহার নিয়ে মানুষের অধিকার হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ মমতার

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) হাত দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) আবহে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার(Election Manifesto of BJP)। সেই ইস্তেহারে পৃষ্ঠার সংখ্যা ৭৬, আর মোদির ছবির সংখ্যা ৫৩। কার্যত মোদিময় ইস্তেহার। সেই ইস্তেহার প্রকাশির হওয়ার পর থেকেই দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি একযোগে আক্রমণ করে চলেছে পদ্ম শিবিরকে। সবার সুর মোটামুটি এক। ‘বিজেপির ইস্তাহারে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি নামক শব্দ দু’টি উধাও কেন?’ ‘বিজেপির ইস্তাহারে ও নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতায় দু’টি শব্দ গায়েব। মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব।’ ‘এটা ইস্তেহার নয়, জুমলাপত্র।’ ইত্যাদি ইত্যাদি। এদিন অর্থাৎ সোমবার সেই ইস্তেহার নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তবে তিনি এই ইস্তেহারকে ঘিরে যত না সরব হয়েছেন তার থেকেও বেশি আমজনতার কাছে তাঁদের অধিকার(Rights of People) হারানোর আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। সঙ্গে এটাও বলেছেন, ‘আমি যেটা আগে বলি, পরে সেটা অনেকে বোঝে। যখন আমি আগে বলি, তখন আমায় ভুল বোঝে। ভাবে আমি ঠিক বললাম কিনা। পরে দেখে না মমতাই ঠিক বলেছিল।’  

এদিন কোচবিহার শহরের রাসমেলার মাঠে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুবনিয়ার সমর্থনে একটি সভা করেন মমতা। সেই সভা থেকেই তিনি বিজেপির ইস্তেহার নিয়ে সরব হন। মমতা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কাল কি ম্যানিফেস্টোয় কী বলেছে? বলেছিলাম, মাছের মাথাটা হচ্ছে ক্যা, আর লেজটা হচ্ছে এনআরসি। মধ্যিখানের পেটিটা হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কাল ম্যানিফেস্টোয় রেখেছে, কি রাখেনি? দেশ তো বেচে দিচ্ছে। বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, আর এই আইন পাস করা হয়, তাহলে তফসিলি জাতির বন্ধুরা জেনে রাখুন যে আইডেন্ডেটি থাকবে কিনা, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে থাকবে না। আদিবাসীদের অধিকার থাকবে না। সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব থাকবে না। হিন্দুদেরও থাকবে না। রাজবংশীদেরও থাকবে না। মানুষের অধিকার কেড়ে নেবে বিজেপি সরকার। মানুষ কী খাবেন, সেটাও ঠিক করে দেবে। মানুষ কী খাবেন, সেটাও আগামিদিনে বিজেপি ঠিক করে দেবে। যেমন বিজেপি বলবে, সেরকমই খেতে হবে। আপনি কী খাবেন, লিখে দেবে সকালবেলায়। চা খাও। চায়ের সঙ্গে গোমূত্র খাও। আপনি কী খাবেন, লিখে দেবে দুপুরবেলায়। কী খাবে, গোবরের সঙ্গে মিশিয়ে কিছু খাও। সন্ধ্যায় কী খাবেন, সেটাও ওরা ঠিক করে দেবে। রাতে আপনি কত ঘণ্টা ঘুমোবেন, সেটা ওরা ঠিক করে দেবে।’

এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সবরকমের উৎসব পালন করা হয়। সরকার কখনও কোনও উৎসব পালনে বাধা দেয় না। যাঁরা নবরাত্রি করেন, তাঁদের আমি শুভকামনা জানাই। আমাদের এখানে বাসন্তীপুজোও হয়, দুর্গাপুজোও হয়। বাসন্তীপুজো ছোট করে হয়। দুর্গাপুজো বড় করে হয়। বাসন্তীপুজো হয়, অন্নপূর্ণা পুজো হয়। নীলষষ্ঠী হয়, চৈত্র সংক্রান্তি হয়, ভাদু উৎসব হয়, ভাওয়াই উৎসব হয়। বিহু উৎসব হয়। আমি সবাইকেই অভিনন্দন জানাই। ইদ হয়ে গেল, বড়দিন হয়ে গেল। আগামিদিনে আরও উৎসব আসবে। কিন্তু মনে রাখবেন, এই নির্বাচন যে সে নির্বাচন নয়। যদি দেশকে স্বাধীন রাখতে হয় তাহলে বিজেপিকে হঠাও। নাহলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। আজ ইতিহাস, ভূগোল, গুলিয়ে দিয়েছে। খুব সাংঘাতিক পরিস্থিতি দেশের। নির্বাচন এলেই খালি যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা খেলবে। দাঙ্গা করার জন্য রেডি হয়ে গেছে।  মনে রাখবেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে আদিবাসীদের অধিকার থাকবে না। সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব থাকবে না, হিন্দুদেরও থাকবে না। ক্যা, এনআরসি আর অভিন্ন দেওয়ানি বিধির করে বিজেপি মানুষের অধিকার হরণ করে নিচ্ছে। রুখে দাঁড়ান, নাহলে পরে আর কিছু করার থাকবে না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর