এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘বিজেপির কথায় ভোট পর্যন্ত আটকে রাখবেন না, টাকা এখুনি দিতে হবে’, কমিশনকে বার্তা মমতার

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: টর্নেডোর ধাক্কায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার বাড়ি। তার ৩-৪গুণ বেশি লোক এখন খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী এলেন, সভা করলেন, চলে গেলেন। একবারের জন্যও তাঁদের কথা মুখে তোলেননি। কিন্তু যিনি ভাববার তিনি ঠিকই ভাবছেন। কেননা তিনিই তো থাকেন সারাবছর বাংলাকে নিজের বুকে আগলে রেখে। প্রধানমন্ত্রী তো পরিযায়ী পাখি। খালি ভোট এলেই তাঁর বাংলার কথা মনে হয়। শুক্রবার সেই ঝড় বিধ্বস্ত মানুষগুলোর জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেই(ECI) বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কেননা এখন নির্বাচনের সময়। লাগু হয়ে আছে আদর্শ আচরণবিধি(Model Code of Conduct)। এখন ঝড়বিধ্বস্তদের(Storm Effected People) জন্য কিছু ঘোষণা করতে হলে তা কমিশনের অনুমতি নিয়েই করতে হবে। এদিন কোচবিহারের তুফানগঞ্জ(Tufanganj) থেকে সেই বার্তা দিয়েছেন মমতা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়ে কয়েক হাজার বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। অনেকেই ত্রাণ শিবিরে আছেন। অনেকেরই সর্বস্ব চলে গিয়েছে। নির্বাচন না হলে জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারে যাঁদের সব চলে গিয়েছে, তাঁদের জন্য আমি ঘর বানিয়ে দিতাম, ১ সেকেন্ড লাগত না। আমার চাইছি ৫ হাজার লোক তাঁরা যেন আশ্রয় পান, আমরা টাকা দেব। টাকাটা রাজ্য সরকারই দেবে। প্রশাসন দেবে। কিন্তু আপনারা এটাকে ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছেন না। কেন দিচ্ছেন না? বিজেপির কথায় ভোট পর্যন্ত আটকে রাখবেন না! পাঁচ হাজার লোকের বাড়ি ভেঙেছে। নির্বাচনের সময়ে কথায় কথায় অনুমতি নিতে হয়। বিজেপি যা বলে, তাই করতে হবে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তোমাকে তো টাকাও দিতে হচ্ছে না। ঝড়ে যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের টাকা এখুনি দিতে হবে।’ এর পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী টেনে এনেছেন কেন্দ্রের আবাস যোজনার বঞ্চনার বিষয়টিও। তিনি বলেন, ‘৬ লক্ষ বাড়ি আবাসের ১১ লক্ষ বাড়ির লিস্টে ছিল? কেন করতে দেওনি ৩ বছর? দুর্নীতি হয়েছে বলছো? আমি বলি শ্বেতপত্র প্রকাশ করো। কোথাও কোথাও কেউ দুষ্টুমি করে থাকতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও কোনও অভিযোগ নেই, তাও একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখোছো। আমরা ৭০ কোটি টাকা খরচ করেছি একশো দিনের কাজের জন্য। আমি নিজে দিল্লি গিয়ে দেখা করলাম, টিম পাঠালে, তারা গিয়ে তো রিপোর্টও দিয়েছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ করো। বিজেপির গ্যারান্টি জিরো।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডে আমাদের সরকার কীভাবে সাহায্য করেছে। আর ওরা একটা করে ইঞ্জেকশন দিয়েছে, আর তাতেও ছবি লাগিয়ে দিয়েছে। বলছে, বাংলা আমার আয়ুস্মান করছে না। কেন করবে, আয়ুস্মান করলে তার অর্ধেক টাকা আমাদের দিতে হবে। ওদের প্রকল্পে যাদের বাড়ি একটা বাইক আছে, যার মাথায় ছাদ রয়েছে, তারা কেউই পাবে না। আমরা দয়া চাই না। আমরা চাই সব পরিবার পাক। স্বাস্থ্যসাথীতে তাই পেয়েছে। যত বিজেপির প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা কেন ক্যা-তে অ্যাপ্লাই করছেন না? আসলে ক্যা হল মাছের মাথা, আর NRC হল লেজ। আপনি যেই ক্যা-তে নাম লেখাবেন আপনি বিদেশি হয়ে গেলেন, আপনি না দিতে পারবেন ভোট, না কোনও অধিকার পাবেন, ব্যাঙ্ক, সোশ্যাল স্কিম থেকে তাড়িয়ে দেবে। যারা দশ বছর প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসে আছেন, তাহলে তারা কীভাবে বলেন ক্যা-তে নাম লেখান?’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে প্রবীণ ও অক্ষম ভোটারদের দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করল কমিশন

ভিন রাজ্যের নিখোঁজ বৃদ্ধকে পরিবারের হাতে পৌঁছে দিল রানাঘাট পুলিশ

বারাসতের টাকি রোডে নার্সিংহোমে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ

গঙ্গারামপুরে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল প্রশাসন

‘মিথ্যা অভিযোগ’, মামলা তুলে নিতে চান সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের শিকার’ মহিলা

বুধবার শ্রীরামপুরে প্রচারে মুখোমুখি কল্যাণ- দীপ্সিতা, উঠলো স্লোগান, গাইলেন রবীন্দ্র সংগীত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর