এই মুহূর্তে

নাম না নিয়েও পরেশের থেকে দূরত্ব বোঝালেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেকেই ভেবেছিলেন বিশেষজনকে নিয়ে বিশেষ কোনও বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুমান সত্যি করে মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই বার্তা দিলেন। তবে কারও নাম না করেই। দলীয়কর্মী থেকে আমজনতার উদ্দেশ্যে সেই বার্তা দিলেন মমতা। খালি কারও নাম না করেই সেই বার্তা দিয়ে তিনি আদতে বিশেষজনের সঙ্গে নিজের দূরত্ব বুঝিয়ে দিলেন। বললেন, ‘স্থানীয় কারও ওপর রাগ করে দলটাকে ভুল বুঝবেন না। কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে আমায় দোষ দিন। ভুল করলে আমরা তা সংশোধনও করি। কিন্তু বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না। আমায় গাল দিন, কিন্তু তৃণমূলকে ভুল বুঝবেন না। তৃণমূলকে(TMC) শক্তিশালী করুন। যা পাননি, সেটাও পাবেন।’ মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar) শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভায় উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) একবারের জন্যও পরেশ অধিকারীর(Paresh Adhikari) নাম নেননি। কিন্তু পরেশের সঙ্গে যে দল এখন দূরত্ব রেখে চলবে সেটা বুঝিয়ে দিলেন।

এদিন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) উন্নয়ন নিয়ে একাধিক বার্তা দেন মমতা। বলেন, ‘তৃণমূল আসার আগে উত্তরবঙ্গের দিকে কারও নজর ছিল না। আমরা আসার আগে উত্তরবঙ্গের দিকে কেউ ফিরে তাকাতো? অনেকে এখানে হলংয়ের বন দেখতে আসতো। বরলা মাছ খেয়ে চলে যেত। কারও কোনও নজর ছিল না। আমরা মাত্র ১০ বছরের মধ্যে আমি এখানে একটি সেক্রেটারিয়েট করে দিয়েছি। উত্তরবঙ্গের লোকদের এখন আর প্রশাসনিক কাজের জন্য দক্ষিণে যেতে হয় না। আপনাদের জন্য উত্তরকন্যা করে দেওয়া হয়েছে। এখন উত্তরবঙ্গের মানুষকে দক্ষিণবঙ্গে যেতে হয় না। জলপাইগুড়িতে নতুন সাফারি করে দিয়েছি, কালিম্পংকে নতুন জেলা করে দিয়েছি, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্য়ালয় করে দিয়েছি। রায়গঞ্জ, বালুরঘাটেও বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। হিন্দি কলেজ করেছি। মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করে দিয়েছি। উত্কর্ষ বাংলায় ২৭ হাজার ছেলেমেয়েকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। ২২ হাজার মেয়েকে কাজ দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এখানে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে যাবে। ১২ হাজার মানুষকে জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। ৬০টি সড়ক প্রকল্প হয়েছে উত্তরবঙ্গে। ফালাকাটায় শিল্প তালুক হবে। মা বোনদের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেখতে চাই। ৮টি কর্মতীর্থ হয়েছে। আমরা ভাঙি না আমরা গড়ি। বিরোধীদের কথায় ভুল বুঝবেন না। তৃণমূলকর্মীদের বলব ঘর থেকে বার হোন, কাজ করুন, মেয়েদের সঙ্গে নিন।’

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার মানুষদের পাট্টা প্রদান নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারে প্রায় ১২ হাজার পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা দীর্ঘদিন ছিলেন অথচ পাট্টা পাননি, তাঁরাও পাট্টা পাবেন। উদ্বাস্তু কলোনির লোকেরা যাঁরা রয়েছেন তাঁদের আমরা উচ্ছেদ করব না। তাঁরাও ধীরে ধীরে পাট্টা পেয়ে যাবেন।’ আর এই পাট্টা প্রদান প্রসঙ্গেই তিনি রেল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন। বলেছেন, ‘যারা উদ্বাস্তু কলোনি করে বসে রয়েছেন তারা ধৈর্য ধরুন। সবাই জমির পাট্টা পেয়ে যাবে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু আর একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করছি। বিজেপি আলিপুরদুয়ার,কোচবিহার জিতে কী করেছে? যত লোক রেলের পাশে বসে রয়েছে তাদের সব উচ্ছেদ করছে। আসানসোল, শিলিগুড়িতে যারা বসে রয়েছে তাদের উচ্ছেদ করছে। যেখানেই দেখবেন রেল উচ্ছেদ করছে কোমর বেঁধে দাঁড়াবেন। কোনও উচ্ছেদ করতে দেবেন না। কারণ উচ্ছেদ করার অধিকার ওদের নেই।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর