নিজস্ব প্রতিনিধি: এতদিন ক্ষোভ ছিল ঠিকাদারদের। এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে নিজের ক্ষোভ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার তিন দিনের জঙ্গলমহল(Junglemaghal) সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে করে মেদিনীপুরে(Midnapur) পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সেখানে প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বৈঠকেই তিনি ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসে জেলার ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহ(Birsingha) গ্রামে দুটি গেট ও একটি কমিউনিটি হলের কাজ শুরু করার কথা দেড় বছর আগেই ঘোষণা হয়ে গেলেও সেই কাজ শুরুই হয়নি। কেন সেই কাজ শুরু হয়নি তা জানতে গিয়েই জেলাশাসকের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন ওই কাজের জন্য পিডব্লিউডি(PWD) ৪০ লক্ষ টাকার ডিপিআর দিয়েছে। সেই টাকা না পাওয়ার জন্যই কাজ আটকে রয়েছে বলে জেলা শাসক জানান। এমনকি গোটা কাজ করতে আরও বেশি টাকা লাগবে বলে জানান জেলা শাসক। আর এখানেই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পিডব্লিউডি-র বড্ড বেশি খাঁই। পিডব্লিউডি-র এত খাঁই কেন? কোনও কিছু করতে চায় না। করতে গেলেও এমন বাজেট ধরবে যে, বলার না। প্রথমে পাঁচ টাকা ধরবে। তারপর এক বছর পর রিকাস্ট করে বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো। ওদের দিয়ে সব কাজ করানোর দরকার নেই। আমি যেন কাজ করাই না! কালীঘাট মোড়ে অতবড় গেট করে দিয়েছি ৫০ লক্ষ টাকায়। এত টাকা তো লাগেনি। ওই ডিপিআর কেটে ফেলে দাও। কী ডিপিআর তৈরি করেছে আমাকে দেখিও তো! এখন তো কত হালকার উপর কাজ হয়। কিন্তু এমন খরচ দেখাচ্ছে যেন, খোদাই করে কাজ হবে। কলকাতায় তো এত কিছুর নির্মাণ হয়, তাতে তো এত খরচ হয় না। প্রয়োজনে হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট ও এইচআরবিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নাও।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন বীরসিংহের কাজ ৬ কোটি টাকার মধ্যে সেরে ফেলতে।