নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় কথায় রাস্তা অবরোধ। কথায় কথায় ভাঙচুর-লুঠ-অগ্নিসংযোগ। বাংলার(Bengal) বুকে যত্রতত্র এই ঘটনা ঘটে চলেছে। শুধু যে ঘটে চলেছে তাই নয়, বরং ক্রমশই তা বেড়ে চলেছে। আর তার জেরে নানা সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যে আইনশৃঙ্খলা জম্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাই নয়, চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে আমজনতাকেও। একই সঙ্গে এটাও দেখা যাচ্ছে যে, ওই সব ঘটনার সময় রাজ্যের বিরোধী দলগুলির যেমন তাতে ভালরকমের ইন্ধন দেয় তেমনি রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলে আইনশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতি বেহাল হওয়া নিয়ে। এই সব কিছু দেখেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। বিধানসভায় আনা হচ্ছে ‘Maintenance of Public Order Act’। তবে এই নয় যে এই আইন আগে ছিল না এখন প্রণয়ণ করা হচ্ছে। এই আইন আগে ছিল, এখন সেখানে একটি সংশোধনী আনতে চলেছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)।
আরও পড়ুন বছরে দুইবার করে বাড়বে মাইনে, নির্দেশ রাজ্যের
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এরাজ্যে সম্পত্তি নষ্ট রুখতে যে আইন আছে, সেই ‘Maintenance of Public Order Act’ সংশোধনী সংক্রান্ত বিল বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই আনা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছু অসামাজিক ব্যক্তি নিজস্ব কিছু উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বা আন্দোলনের নাম করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, লুট বা অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটায়। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মেটাতে অপরাধীর সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্টের উপযোগী সংশোধনী আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে এটাও লক্ষ্য করা গিয়েছে ওই সব ঘটনার সঙ্গে ইন্টারনেট বড় ভূমিকা পালন করছে। ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভিন রাজ্যের ঘটনাকেও এই রাজ্যের ঘটনা বলে ছড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাঁধাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে উস্কানিমূলক প্রচার। এই সব কিছু মাথায় রেখেই ‘Maintenance of Public Order Act’ সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন ৩৭ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে কসবায় রাতভর তল্লাশি ইডি’র
জানা গিয়েছে এই আইন কার্যকর হয়ে গেলে যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, লুঠ, অগ্নিসংযোগ করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে শুধু গ্রেফতারিতেই আটকে থাকবে না সরকার। যিনি সেই ঘটনায় জড়িত বলে আদালতে প্রমাণিত হবে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতেও পারবে সরকার। সেই সম্পত্তি যদি মুদির দোকান বা শরিকি বাড়িও হয় তাহলেও তা বাজেয়াপ্ত হবে। এমনকি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, দামী ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, বাড়ি-বাগান-জমি-ফ্ল্যাট, দোকান, ব্যক্তিগত যান এইসবই বাজেয়াপ্ত করা যাবে। একই সঙ্গে এই আইনে শুধু রাজ্য সরকারের সম্পত্তি নষ্টের কথাই বলা হচ্ছে না, কেন্দ্র সরকারের সম্পত্তির(Central Property) বিষয়টিও থাকছে তাতে। অর্থাৎ রেলের(Rail) সম্পত্তি ভাঙচুর, লুঠ বা অগ্নিসংযোগের অপরাধে যারা সামিল হবেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এই আইনে পদক্ষেপ করা যাবে।
