নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার নরেন্দ্রপুরের একটি স্কুলে ঢুকে হামলা চালাল বহিরাগতরা। স্কুলের মধ্যে ঢুকে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার মোবাইলও। এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। প্রধান শিক্ষকের মদতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন সকালে স্কুলে যখন প্রথম ক্লাস শুরু হয়, তখনই কুড়ি থেকে পঁচিশ জন লোক বাইরে থেকে এসে স্কুলে ঢুকে পড়েন। সেইসময় টিচার্স রুমে ১৮ থেকে ২০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই ওই সব দুষ্কৃতীরা মারধর শুরু করে দেন। শিক্ষক শিক্ষিকারা ছবি তুলতে গেলে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। আক্রান্ত একজন শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের মদতেই এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। প্রধান শিক্ষকের যারা কাছের লোক তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়নি। যারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, তাঁদের ওপর বেছে বেছে হামলা চালানো হয়েছে।
কিন্তু কেন এই হামলা চালানো হল। এর কারণ হিসাবে আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি মামলা করেছিলেন স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা। সেই মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকারা তা শুনতে রাজি হননি। সেইকারণেই বহিরাগতদের দিয়ে স্কুলে তাঁদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর মতে, ‘আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই কিছু শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে অরাজগতা তৈরি করতে চাইছিলেন। বেশ কিছু সিনিয়র শিক্ষকরাও অপমানিত হচ্ছিলেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ আনা হচ্ছে।‘