নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের জন্য পড়ুয়াদের আবেদন করার জন্য সময় দিয়েছিল বোর্ড। সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিল পড়ুয়ারা। আবেদনের ভিত্তিতে স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের পর মঙ্গলবার সেই পরিবর্তিত মেধাতালিকা প্রকাশ করে বোর্ড। এদিন পরিবর্তিত মেধাতালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় মেধাতালিকায় কৃতীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রথম দশে থাকা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩২।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মাধ্যমিকের স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ের পর মঙ্গলবার ফল প্রকাশ করা হয়। এদিন ফল প্রকাশের পর দেখা যায় বহু পরীক্ষার্থীর নম্বর বেড়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর মোট ৩২ হাজার ৭৪০ জন পড়ুয়া বিভিন্ন বিষয়ে তাদের উত্তরপত্র স্ক্রুটিনির জন্য দিয়েছিল। যে উত্তরপত্রগুলিতে স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করা হয়েছিল সেগুলির মধ্যে ১১ হাজার ৪৬৫ উত্তরপত্রে নম্বর বেড়েছে। ৪৯৫ জন পড়ুয়ার ১০ নম্বর পর্যন্ত বেড়েছে। যে সমস্ত পড়ুয়ারা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিল ২৬৯৯ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ৯৩১টি উত্তরপত্রে নম্বর বেড়েছে।
স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের পর প্রথম দশের মেধাতালিকায় ১৮ জন বেড়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন জানান, ‘২০২২-এর মাধ্যমিকের স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের পরের ফল মঙ্গলবার দুপুর ৩টে থেকে বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। পর্ষদকে প্রায় এক লক্ষ পাঁচ হাজার খাতা স্ক্রুটিনি করতে হয়েছিল। তবে যারা রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিল তাদের মধ্যে ৯১.২৬ শতাংশের ফলে কোনও পরিবর্তন হয়নি।’ স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের পর মাধ্যমিকে সপ্তম স্থান অধিকার করা অনন্যা দেবের নম্বর বেড়েছে। সে সপ্তম স্থান থেকে উঠে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। স্ক্রুটিনির পর বীরভূমের বাসিন্দা সৌমাল্য নিয়োগীরও নম্বর বেড়ে অষ্টম থেকে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। কোচবিহারের রিফাত তামান্না মাধ্যমিকে দশম হয়েছিল। স্ক্রুটিনি করার পর সে দশম থেকে নবম স্থানে উঠে এসেছে।