নিজস্ব প্রতিনিধি,হরিশ্চন্দ্রপুর: একাদশীর সাত সকালে বিদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ৩০০ কুইন্টাল পার্ট।মাথায় হাত পাট ব্যবসায়ীর।ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বনসরিয়া মোড়ে এক পাটের গোলায়।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পাট ব্যবসায়ী তথা
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ(Keramuddin Ahamad)।জানা গেছে,প্রথম দিকে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালেও আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই তেজ ছিল যে স্থানীয়রা সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়।ফোন করা হয় তুলসীহাটা(Tulsihat) দমকল অফিসে।
দমকলের একটি ইঞ্জিন দুই ঘণ্টার(Two Hours) চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গোলার বেশ কিছু পাট সরিয়ে আনা সম্ভব হলেও ৩০০ কুইন্টাল পাট পুড়ে ছাই হয়ে যায়।যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮ লক্ষ টাকার বেশি বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এদিন সকালে পাটের গোলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখতে পায় এক চা দোকানদর।তার চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে যান স্থানীয়রা।আগুন দ্রুত গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে পাট।পাট (Jute)ব্যবসায়ী কেরামুদ্দিন আহমেদ বলেন, “সকালে খবর পান,তার পাটের গোডাউনে(Godown) বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।তিনি এসে দেখেন,স্থানীয় লোকেরা গোডাউন থেকে পাট বের করছে ও দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।গোডাউনে ৭০০ কুইন্টাল পাট ছিল।এই আগুনে ৩০০ কুইন্টাল পাট পুড়ে গেছে।যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮ লক্ষ টাকার বেশি।
তিনি আরো জানান,তার গোডাউনের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার যাওয়ার কারণে আজ এই দুর্ঘটনা ঘটে।হরিশ্চন্দ্রপুর দমকল(Fire Brigade) অফিসার প্রবীর রায় জানান,ফোন পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন তারা।প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।গোডাউনের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার যাওয়ার কারণে
শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে অনুমান।