নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরনগর: মতুয়া সম্প্রদায়ের মন পেতে লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কবে চালু হবে, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর মিলছে না কেন্দ্রের শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ মতুয়া সম্প্রদায়।
মঙ্গলবার মতুয়া মহা ধর্মমেলা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মতুয়ারা আশায় ছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও ঘোষণা করবেন তিনি। কিন্তু হিংসা, বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে তাঁর যাওয়ার স্মৃতিচারণ থেকে অনেক কিছুই বলেছেন। কিন্তু নীরব থেকেছেন সিএএ নিয়ে। আর তাতেই আশাহত হয়ে পড়েছেন মতুয়ারা। বুধবার মহা ধর্মমেলায় যোগ দিতে আসা মতুয়াদের অনেকেই ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘লোকসভা ভোট গেল, বিধানসভা ভোট গেল। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি নাকের ডগায় মুলোর মতো ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা যদি মনে করেন, নাগরিকত্বের প্রলোভন দেখিয়ে এভাবে বার বার মতুয়াদের ভোট কব্জা করবেন, তাহলে ভুল করছেন। পুরভোটে যা দেখেছেন তা ট্রেলার। পঞ্চায়েত ও পরের লোকসভা ভোটে মতুয়ারা নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে দেবেন।’
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর নিয়ে নীরব থাকায় মোদির উপরে যেমন চটেছেন মতুয়ারা, তেমনই খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করায় অনেকেই আপ্লুত। বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কথায়, ‘হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সরকারি ছুটির ঘোষণা করেছেন। তার জন্য ওনাকে মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আপ্লুত এবং কৃতজ্ঞ।’