নিজস্ব প্রতিনিধি: আদিবাসী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে হেনস্থা এক চিকিৎসকের! ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার রাতে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকের হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাতেই হাসপাতালে ধর্নায় বসেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda) অভিযোগ, সোমবার বিকেলে ঝড়-বৃষ্টির কারণে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ঝড় থামার পর লালগড়ে গিয়ে জখম ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন মন্ত্রী। প্রথমে জখম ব্যক্তিদের লালগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। লালগড় হাসপাতাল থেকে ঝাড়গ্রামে স্থানান্তর করা হয় মৌলী মুর্মু নামে এক মহিলাকে। যার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। জরুরি বিভাগে ওই মহিলাকে দেখানোর পর সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈকত রানা মহিলার সমস্যার কথা জানতে চান। সেই সময় মৌলী মুর্মুর ছেলে বৈদ্যনাথ মুর্মু চিকিৎসককে সমস্যার কথা জানাতে গেলে দুর্ব্যবহার করেন।
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার চোখের সামনেই এমন ঘটনা ঘটায় চুপ থাকেননি তিনি। তিনি চিকিৎসকের নাম জানতে চান, অভিযোগ, এরপর বীরবাহা হাঁসদার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক আদিবাসী মন্ত্রীকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিঁড়িতে ধর্নায় বসেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার গৌতমেশ্বর মজুমদার, হাসপাতালের সহকারি সুপার স্নেহাশিষ পাত্র। তাঁদের তরফে দীর্ঘক্ষণ পরে অনুরোধ করার পরে ধর্না তুলে নেন মন্ত্রী।