নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবার লালসার শিকার নাবালিকা কন্যা। টানা তিন বছর ধরে মাতৃহারা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। তিন বছর ধরে বাবার পাশবিক অত্যাচার সহ্য করছিল ওই মেয়ে। ধর্ষণ করার পরই মেয়েকে দিব্যি দিয়েছিলেন বাবা, যে এই কথা কাউকে যেন না বলে সে। দিনের পর দিন মেয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার ক্রমশ বাড়িয়েছে বাবা। অত্যাচারের মাত্রা চরমে পৌঁছনোয় অবশেষে মুখ খুলল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সেইসব ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলল কিশোরী। সে এখন চায় তার বাবাকে ছাড়া থাকতে। তার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমি বাবার সঙ্গে থাকতে চাই না আর।’ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয় চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ওই কিশোরী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা পেশায় এক জন রাঁধুনি। অভিযুক্ত বাবার নাম রণজিৎ মণ্ডল।
পুলিশ জানায়, কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানা এলাকার বাসিন্দা রণজিৎ মণ্ডল কলকাতার একটি পানশালায় রান্নার কাজ করে। কলকাতা থেকে সপ্তাহে দু’দিন বাড়িতে আসে। আর বাড়ি এসেই শুরু হতো নিজের প্রথম পক্ষের মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন। রবিবার রাতে ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নাবালিকার জন্মের সময়ই তার মা অর্থাৎ রণজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী মারা যান। তখন থেকে শিশুটিকে দেখভাল করেন প্রতিবেশীরা। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর পুনরায় বিয়ে করে রণজিৎ। তারপর নিজের মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। ওই নাবালিকা মেয়েটি তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর থেকেই রণজিৎ মণ্ডল মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ। মেয়েটি এখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। অত্যাচারের সীমা চরমে পৌঁছানোর পর মেয়েটি স্কুলে তার সহপাঠী ও প্রধান শিক্ষিকার কাছে বাবার কুকর্মের কথা জানায়। এরপর প্রতিবেশিরাও এই কথা জানতে পারেন। তারাই কিশোরীকে থানায় নিয়ে যান। অভিযোগ দায়ের করার পর গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার পুলিশ।