এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সারেও মমতার বাংলাকে বঞ্চিত করছেন মোদি, বাড়ছে কালোবাজারি

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা(Bengal) ভারতের(India) অঙ্গ। অথচ সেই বাংলাকেইও প্রতি পদে পদে বঞ্চিত করে চলেছে দেশে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। সেই বঞ্চনার অন্যতম অঙ্গ হল বাংলায় সার না পাঠানো। কার্যত দেশের কৃষিক্ষেত্রে অনান্য Double Engine States গুলির তুলনায় বাংলা অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ায় এখন বাংলার কৃষকদের(Farmers) ভাতে মারার ব্যবস্থা করছে মোদি সরকার(Modi Government)। কেননা হাজারও চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁরা বাংলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রভাব কমাতে পারেননি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে হারাতে পারেননি। ভোটের পরেও তাঁর গদি উল্টে দিতে পারেননি। তাই এবার শুরু হয়েছে বঞ্চনার চক্র। শনিবার রাজ্য বিধানসভায় এই নিয়ে সরব হন বাংলার কৃষিমন্ত্রী(Agriculture Minister) শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়(Sovondeb Chattopadhay)। তিনি সাফ জানান, কেন্দ্র সরকার বাংলায় সার(Fertilizer) পাঠাচ্ছে না। তার জেরে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় রাজ্যজুড়ে সারের কালোবাজারি চলছে এবং কৃষকদের পকেট থেকে টাকা বেড়িয়ে চলে যাচ্ছে। বাংলাকে যাতে পর্যাপ্ত সার সরবরাহ করা হয়, সে জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সারের দাম বৃদ্ধিতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলার কৃষকেরা।  

কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ সালে রাজ্যে সারের চাহিদা ছিল ১০.০৫ লক্ষ মেট্রিক টন। সে জায়গায় দেওয়া হয়েছিল ৭.২৯ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ সালে চাহিদা ছিল ৯.৫২ লক্ষ মেট্রিক টন। রাজ্য পেয়েছিল মাত্র ৫.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যে সারের চাহিদা ৯.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন, এ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৩.৪৯ লক্ষ মেট্রিক টন। কার্যত প্রতি বছর একটু একটু করে বাংলায় সার পাঠানোর পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। তাতেই বোঝা যাচ্ছে মোদি সরকারকে মমতাকে বাগে না পেয়ে কীভাবে বাংলার কৃষকদের ভাতে মারার রাস্তায় হাঁটছে। সারের দাম বাড়ায় চাষের খরচও অনেকটা বেড়েছে। আগে ১ বিঘা আলু চাষ করতে খরচ হতো ২,৫৩০ টাকা। এখন প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ৩,৫৭৯ টাকা। ১ বিঘা ধান চাষে আগে ব্যয় হতো ১,২১৬ টাকা মতো। তা এখন বেড়ে হয়েছে প্রায় ১,৭৬৯ টাকা।   

মন্ত্রীর যুক্তি, জোগান কমার কারণে সারের কালোবাজারিও হচ্ছে। তা বন্ধে রাজ্য প্রশাসন বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করেছে। বেশি দামে সার বিক্রির জন্য ১,৩৮৬ জন ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। ৬৫ জন ডিলারের দোকান থেকে সার বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১১ জনের লাইসেন্স। কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ ক্রমশ কমাচ্ছে মোদি সরকার। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিমা যোজনায় কেন্দ্র আগে রাজ্যকে বছরে ১৭০ কোটি টাকা দিত। এখন তা কমে হয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৬০ কোটি থেকে কমে হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। আত্মা প্রকল্পে বরাদ্দ ১৩০ কোটি থেকে হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। সব থেকে বড় কথা শোভনদেববাবু এখন তাঁর বাক্যবাণে বিজেপি ও মোদি সরকারকে বিদ্ধ করছেন রাজত বিধানসভায় তখন সেখানে উপস্থিত থেকেও কোনও বিরোধিতা করেননি বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) বিধায়কেরা। তাতেই বোঝা যাচ্ছে তাঁরাও কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপে কতটা বেকায়দায় পড়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তিন তোলাবাজ যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর থানা ঘেরাও করে ডেপুটেশন দিলেন আমজনতা

জনজাতি সম্প্রদায়কে নিয়ে মায়াপুর ইসকনের তিনদিন ব্যাপী কনভেনশন

নিউটাউনে উদ্ধার হওয়া ক্ষতবিক্ষত যুবক করুণাময়ীর এইচএসবিসি ব্যাংকের কর্মী

মালদার চাঁচলে মিঠুনের রোড শোতে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে গঙ্গারামপুরে দেবের রোড শোতে জনসুনামি

‘বিজেপির ১০ জন নেতা যোগাযোগ রাখছেন’, বোমা ফাটালেন অভিষেক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর