এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রেশন দোকান আর ডিলারদের সম্পত্তি নয়, আইন আনছে কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা(Bengal) সহ গোটা দেশের রেশন(Ration) ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। ব্যক্তি মলিকানাধীন রেশন দোকানগুলিকে আর পারিবারিক সম্পত্তি হিসাবে রেখে দেওয়া হবে না। বরঞ্চ তা পরিচালনার জন্য তুলে দেওয়া হবে এলাকারই সমবায় সমিতি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠী কিংবা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে বিল আনতে চলেছে মোদি সরকার(Modi Government)। যদিও এই বিল নিয়ে তীব্র আপত্তি আছে তৃণমূল(TMC) সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। কেননা এই ভাবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রেশন দোকানকে রাষ্ট্রের সম্পত্তি হিসাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হলে শুধু যে দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ রেশন ডিলারের(Ration Dealers) রুটিরুজি বন্ধ হয়ে যাবে তাই নয়, এই পথ ধরে ভবিষ্যতে কেন্দ্র সরকার যে কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে তা রাতারাতি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করে দিতে পারে। আর সেরকম ঘটনা দেশের গণতন্ত্রের ওপর বড়সড় আঘাত হয়ে নেমে আসবে। যদিও বিরোধীদের এহেন দাবিকে মান্যতা দিতে চাইছে না মোদি সরকার। দেশজুড়ে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রেশন দোকানকে শীঘ্রই রাষ্ট্রের অধীনে আনতে বিল আনতে চলেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন বাংলায় ৮ হাজার কোটি টাকার জিএসটি প্রতারণা, গলদ আইনেই

গোটা দেশে এখন ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৮টি রেশন দোকান আছে। এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় রয়েছে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৫৩টি। এগুলিকেই স্থানীয় সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়া ইতিমধ্যেই দেশের সব রাজ্যের খাদ্যসচিবদের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন। নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্যত এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে যে, ব্যক্তিগত মালিকানার রেশন দোকান ব্যবস্থাকে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিতে হবে। এতে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে। রাজ্যকে যে ভর্তুকি তথা খাদ্যশস্য দেওয়া হয়, তা আরও সহজ হবে। তাছাড়া গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের হাতে গেলে তারা নিজেরাও নিজেদের তহবিল থেকে দোকানের উন্নয়নে খরচ করতে পারবে। গণবণ্টন ব্যবস্থাকে আরও চাঙ্গা করতেই এই উদ্যোগ বলে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন ‘কলকাতার নরেন, গুজরাটের মোদি’, বেফাঁস মন্তব্য রাহুল সিনহার

যদিও নবান্ন সূত্রে এটাও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি এই নীতি ও সিদ্ধান্তকে একদমই সমর্থন জানাচ্ছেন না। কেননা খাদ্যের গণবন্টন বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই তরফেরই। কিন্তু মোদি সরকার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে কার্যত রাজ্যের অধিকারকেই খর্ব করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের অধিকার খর্ব করে রেশন ব্যবস্থাকে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে রাতারাতি অধিগ্রহণ করে তা কেন্দ্রের নামে গ্রাস করার ফন্দি আঁটা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা লাগু হলে তা দেশের সমাজব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের পক্ষে চরম হানিকারক হবে বলেই তিনি মনে করেন। তাই কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এই বিষয়টি তাই ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়াও হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে এই ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী প্রায় সব দলই মিমি.তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমত। কেন্দ্র গায়ের জোরে এই বিষয়ে বিল পাশ করান প্রচেষ্টা করলে বিরোধীরাও সর্বশক্তি দিয়ে তার প্রতিবাদ করবে। তৃণমূলের আরও দাবি, আসলে এই বিল পাশ করে মোদি সরকার দেশের রেশন ব্যবস্থাকে বন্ধু কোনও শিল্পপতির হাতে তুলে দিতে চাইছে। যারা নিজেদের একটা ফুড সাপ্লাই চেইন হিসেবে তা কাজে লাগাবে। রেশন দোকান থেকে চাল-চিনি-গম-ডাল বিক্রির পাশাপাশি নিজেদের জিনিসও বিক্রি করবে।

আরও পড়ুন তৃণমূলের নয়া কৌশল, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নিয়ে শুভেন্দুর বাড়িতে যাচ্ছেন ৪ সদস্যের দল

দেশের সংবিধান অনুযায়ী খাদ্য গণবণ্টন ব্যবস্থায় রেশন দোকানের মাধ্যমে চাল-গম দেওয়ার সরকারি প্রকল্পের রূপায়ণ হয়। সেই দোকান খোলা এবং তার রিনিউ লাইসেন্স দেয় রাজ্য সরকার। দোকানগুলির অধিকাংশই ব্যক্তি মালিকানাধীন। তবে এখন স্রেফ চাল-গম দেওয়ার দোকান হিসেবে নয়। এগুলিকে ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবেও ব্যবহার করতে চায় কেন্দ্র। সেই প্রকল্প কার্যকর করতেই ব্যক্তি-মালিকানার রেশন দোকান তুলে দিতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু এই নীতি লাগু হলে রাজ্যের হাত থেকে গণবন্টন ব্যবস্থা বেড়িয়ে যাবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বিরোধিতা করে বার বার মামলা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে। এদিনই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দুয়ারে রেশন নিয়ে একটি মামলার শুনানি রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন বিরোধী বলে রায় দিয়েছিল। তার জেরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এদিন তারই শুনানি রয়েছে।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কার ভোটে সুমিতা থাবা বসাবেন, হিসাব কষছে দুই ফুলই

ফের তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে অধীর, এবার নওদায় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান

বিষ্ণুপুর শিল্পতালুকে বন্ধ কারখানা কিনে তা চালু করছে টাটারা

ডাউন ব্যান্ডেল লোকালে আগুন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর