নিজস্ব প্রতিনিধি : বারাসতের কাছারি ময়দান। আশেপাশের এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এই মাঠ। এলাকায় খুবই ছোট এই ফুটবল খেলার মাঠ। সেই মাঠেই বুধবার সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা, সেখানে সাংগঠনিকভাবে বিজেপির অস্তিত্ব খুবই কম বলে অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সভা কতটা বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাবে এখন সেটাই দেখার।
বুধবার সকালে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের হাওড়া ময়দান-এসপ্লানেড অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর হেলিকপ্টারে করে দমদম বিমানবন্দরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। বিমানবন্দর থেকে রোড শো করে বারাসত কাছারি ময়দানে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাজনৈতিক মহলের মতে, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র বাদ দিলে উত্তর ২৪ পরগনার কোনও জায়গাতেই বিজেপি গত কয়েক বছরে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। অর্জুন সিং যখন একটা সময়ে বিজেপিতে ছিলেন, তখন বারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলায় বিজেপি প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই উত্তর ২৪ পরগনায় সাংগঠনিকভাবে অনেকটাই দুর্বল গেরুয়া শিবির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বারাসতের যে কাছারি ময়দানে সভার ডাক দেওয়া হয়েছে, সেখানে মেরেকেটে পাঁচ হাজার লোকের সমাগম হতে পারে। ফুটবল খেলার এই মাঠ খুব একটা বড়। প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো একজন ব্যক্তিত্ব যেখানে সভা করতে আসছেন, সেখানে বারাসতের সেই মাঠ কী পর্যাপ্ত। উল্লেখ্য, এই উত্তর ২৪ পরগনায় পাঁচটি লোকসভা আসনের মধ্যে বনগাঁ বাদ দিলে কোনও আসনই বিজেপির দখলে নেই।
তাহলে কী কারণে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য এই মাঠ বেছে নিল বঙ্গ বিজেপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কিছুদিন আগে সন্দেশখালির ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। সন্দেশখালিতে মহিলা নির্যাতনের মতো ঘটনা সামনে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাকে সামনে রেখে সেই বিষয়টি কী হাতিয়ার করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কিছুদিন আগেই কৃষ্ণনগরে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নাম না করে মহুয়া মৈত্রের সমালোচনা শোনা যায় বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের মুখে। প্রধানমন্ত্রীর মুখেও উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। এবারেও কী বিজেপি সাংগঠনিক দৈন্যতা ঢাকতেই সন্দেশখালিকেই নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করবে, এখন সেটাই দেখার।