নিজস্ব প্রতিনিধি: সৎ মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ছিল বাবার বিরুদ্ধে। মা ও মেয়ে মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করল সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে হাওড়ার ডোমজুড়ে। প্রথমে ওই ব্যক্তির মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে সাজাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে পুলিশের জেরার মুখে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেন মা ও মেয়ে। ডোমজুড়ের পার্বতীপুরের বাসিন্দা নিহত শেখ সালাম আগে মুম্বইয়ে থাকতেন। একটি সোনার দোকান রয়েছে তার। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে ডোমজুড়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং সৎ মেয়ের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম শেখ সালাম। তার বয়স ৫৫। গত দু’মাস ধরে সালাম সৎ মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। নিজের কিশোরী মেয়ের উপর এই ভয়ঙ্কর অত্যাচার দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছিল। তাই সহ্য করতে না পেরে এদিন বাধ্য হয়েই স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিল এবং তাঁর অত্যাচারিত কন্যা।
এই ঘটনার খবর যায় ডোমজুড় থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের পর মা এবং মেয়েকে থানায় আটক করে নিয়ে যায়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, সালামকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সুলতানা বেগম এবং তাঁর নাবালিকা সৎ মেয়ে। টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েন তারা। জেরায় তাঁরা স্বীকার করে নেন, শেখ সালাম দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালাত। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা খুনের ছক কষেছিল। পরিকল্পনা মত বুধবার রাতে শেখ সালামকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সুলতানা ও তাঁর মেয়ে। দোষ স্বীকার করার পর মা ও মেয়ে দু’ জনকেই গ্রেফতার করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।