নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসা। আর তার পরিণতি হল মর্মান্তিক। ফেসবুক লাইভে এসে বিষ (POISON) খেলেন মা এবং যুবক। পূর্ব বর্ধমান জেলার ঘটনা। জানা গিয়েছে, নির্মাণ কাজ নিয়েই বেধেছিল বচসা। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।
আত্মহত্যা করতে চাওয়া যুবকের নাম আব্বাস আলি। তিনি এক বৈদ্যুতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক। ইলেকট্রিক ওয়ারিংয়ের কাজও করেন। বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধা ও বিধবা মা, স্ত্রী, ভাই এবং ভাইয়ের পরিবার। বিষ খাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে ইদের দিন রাতে। রাত্রি বারোটা বাজার কিছু সময় পরে যুবক লাইভে আসেন তাঁর মাকে নিয়ে। ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন প্রায় ৩৫ মিনিট।
যুবক এবং তাঁর মায়ের অভিযোগ, প্রতিবেশী শেখ বাদশা, শকুন্তলা বিবি ও রোহিত শেখের নামে। অভিযোগ, বাড়ি নির্মাণে জোর করে রাস্তা আটকে তুলছে কার্নিশ। অভিযোগ, এর ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গরুর গাড়ি চলাচলেও অসুবিধে। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ, এই ঘটনা জানিয়ে স্থানীয় পুলিশ ও তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন তাঁরা। এরপরে জারি হয়েছিল ১৪৩ ধারা। তবে নিজেদের ধ্বনি ও প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে রাস্তা আটকে নির্মাণ। অভিযোগ এমনটাই। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবেও দেওয়া হয়েছে হুমকি। নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে তাঁরা বলেন, বেঁচে থেকে কোনও লাভ নেই তাই বিষ খাচ্ছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কয়রাপুরে।
লাইভেই শোনা যায়, ছেলে ও মা যে ঘর থেকে লাইভ করছিলেন সেই দরজা বন্ধ থাকায় কেউ বা কারা ধাক্কা দিচ্ছিলেন দরজায়। পরিবারের সদস্যরা চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দিচ্ছিলেন। এই লাইভ দেখেছিলেন আউশগ্রামের বাসিন্দা কুন্তল চট্টোপাধ্যায়। তিনি আব্বাসের সহকর্মী। এরপর কুন্তল স্থানীয় গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে সমগ্র বিষয়টি জানান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এরপর দরজা খোলেন আব্বাসের মা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও ছেলেকে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্বাসীর অভিযোগ পাওয়ার পরে আগে বারবার বসানো হয়েছে আলোচনা সভা। জায়গার মাপ নেওয়া হয়েছে। নির্মাণকারীরা তাদের কার্নিশ কেটে ছোট করেছে। দাবি, পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়ে, নিয়মমাফিক জায়গা ছেড়ে চলছে নির্মাণ। এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী তথা বিল্বগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী গোস্বামী বলেন, আব্বাস আবেগপ্রবণ। বিষ পান করা ঠিক নয়। মা ও ছেলে সুস্থ হলে আবার আলোচনায় বসা হবে।