এই মুহূর্তে

অনুপমের খুনীর জামিন হাইকোর্টে, আত্মহত্যার চেষ্টা মীনাক্ষীর

নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের মার্চ মাসে একই দিনে বাংলার বুকে দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন দুই দলের দুই কাউন্সিলর, যে ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ১৩ মার্চ পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ওই একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি(Panihati) পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্ত(Anupam Dutta)-ও খুন হন। এদের মধ্যে তপনবাবুর পরিবার ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত সেই দাবিকে মঞ্জুরও করে। কিন্তু অনুপমবাবুর পরিবার রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপরেই আস্থা রেখেছিলেন। তাই তাঁর সিবিআই(CBI) তদন্ত চাননি। পরে পানিহাটি পুরসভার যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অনুপমবাবু কাউন্সিলর ছিলেন সেখানেই শাসক দল তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষী দত্তকে(Minakhi Dutta) উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনে। কিন্তু গতকালই মীনাক্ষী ও অনুপমের পরিবার খবর পান কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছে অনুপমবাবুর খুনের মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত(Bali Pandit)। আর তারপরেই রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। যদিও তাঁদের প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে। আর এই ঘটনা ঘিরেই এখন উত্তাল হয়ে উঠেছে পানিহাটি এলাকা।

অনুপমবাবুর খুনের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের হাতেই আটক হয়েচঝিল বাপি পণ্ডিত। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসীরা। সেই বাপিই গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়ে যায়। সিসিটিফি ফুটেজে এই বাপিকেই গুলি করতে দেখা গিয়েছিল অনুপমবাবুর মাথায়। প্রত্যক্ষ প্রমাণ ও অজস্ব সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও এই খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত কীভাবে কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়ে গেল এখন তা ঘিরেই প্রশ্ন তুলেছে অনুপমবাবুর পরিবার। ক্ষুব্ধ অনুপমবাবুর অনুগামীরাও। তাঁরা গতকাল রাতেই অনুপমবাবুর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে বি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। রাত দেড়টা পর্যন্ত চলে সেই অবরোধ। তা তুললে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। তারমধ্যেই খবর আসে নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মীনাক্ষী। তার জেরে অনুপমের অনুগামীরতা তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায় যার জেরে ৩জনের জীবনই বাঁচানো গিয়েছে। আপাতত ৩জনই স্থিতিশীল আছে বলে অনুপমবাবুর ভাই নিরুপম দত্ত(Nirupam Dutta) জানিয়েছেন। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি পুলিশি তদন্তের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বাপি কবে জামিনের জন্য আবেদন করল সেটাই আমরা কেউ জানি না। আমাদের কেউ তা জানাল না। সেই জামিনের মামলা শুনানিও হল, জামিন পেয়েও গেল বাপি পন্ডিত। কেউ আটকালও না। কেউ কোনও প্রশ্নও তুলল না। কীভাবে জামিন পেল? পুলিশ কী করছিল? মাত্র ছয় মাস আগে বাপি পণ্ডিত, অমিত পণ্ডিত, প্রসেনজিৎ পণ্ডিত আমার দাদাকে মেরেছে। তার সব প্রমাণ আছে। তারপরেও বাপি পণ্ডিতের ভাই প্রসেনজিৎ আগে জামিন পেয়ে গিয়েছে। পুলিশ বলেছিল, যেভাবে মামলা সাজিয়েছে বাপি ছাড়া পাবে না। কিন্তু প্রসেনজিৎ টাকা দিয়ে এখন বাপিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল। আমরা পুলিশের প্রতি ভরসা রেখেছিলাম। কিন্তু এখন আর পুলিশের ওপর আর ভরসা রাখতে পারছি না। পুলিশ-প্রশাসন থেকে আমাদের দলনেত্রী, রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে আমাদের আবেদন, বাপি পণ্ডিত, প্রসেনজিৎ পণ্ডিত সহ দোষী সকলকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর