নিজস্ব প্রতিনিধি: ডায়মন্ড হারবারের এক হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক তরুণীর দেহ। হোটেলের একই ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁর ঠাকুমাকে। তরুণীর ঠাকুমা গুরুতর অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের এক বেসরকারি হোটেলে পৌঁছন তিন জন। বারাসতের নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা ওই তিন জনের নাম যথাক্রমে ধীমান আইচ, আভা আইচ ও সোহিনী আইচ। আভা দেবী সম্পর্কে ধীমানের মা এবং সোহিনী সম্পর্কে ধীমানের মেয়ে। হোটেলে ঘর নেওয়ার পর বেলা ১০টা নাগাদ ধীমান হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। বেরনোর সময় হোটেলের রিসেপশনে বলে যান, তাঁর মা ও মেয়েকে টিফিন পৌঁছে দিতে। এর পর হোটেলের সার্ভিস বয় রুমে খাবার দিতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া মেলেনি। এর পর ডায়মন্ড হারবার থানায় খবর দেওয়া হয়। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে তদন্তে আসেন হোটেলে। রুমের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে তদন্তকারীরা। ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আভা দেবী এবং তাঁর ২২ বছরের নাতনি সোহিনী। দুজনকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সোহিনীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আভা দেবীকে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তরুণী সোহিনী। আভা দেবীও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্ট করেন। এই ঘটনা নিয়ে এসডিপিও মিতুনকুমার দে বলেন, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের চিকিৎসা চলছে। মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা।” ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় ধীমানের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ধীমান। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।