নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতে ভাড়া বাড়িতে একটি ঘরে ছিল দুই বন্ধু। কিন্তু সকালে ঘরে চাবি দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে সঙ্গী। এই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় ঘর মালিকের। অবশেষে ঘরের তালা ভেঙে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। খাটের তলায় পড়ে রয়েছে অপর বন্ধুর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে একটি ভাড়া বাড়িতে। রবিবার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নার্সিং পড়ুয়ার নাম উদ্ধব সরকার। তার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। রবিবার তার রুম মেট বিক্রম সরকার ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যায়। যা দেখে সন্দেহ হয় বাড়ির মালিক সুধাংশু সমাদ্দারের। এরপর বাড়ি মালিক তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে উদ্ভব সরকারের দেহ। খাটের তলায় তার দেহ পড়েছিল বলে জানান বাড়ির মালিক। তড়িঘড়ি তিনি অশোকনগর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মৃত নার্সিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কীভাবে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বাড়ির মালিক সুধাংশু সমাদ্দারের দাবি, তাঁর বাড়িতেই ভাড়া থাকত উদ্ভব সরকার, বিক্রম সরকার-সহ মোট ৪ জন নার্সিং পড়ুয়া। বিক্রম ও উদ্ভব একই ঘরে থাকত। বিক্রম সরকারের বাড়িও দক্ষিণ দিনাজপুরে বলে জানান সুধাংশু বাবু। মৃত নার্সিং পড়ুয়া উদ্ভব অশোকনগর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের নার্সিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। গত ৬ মাস ধরে অশোকনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকছিল তারা। রবিবার সকালে বিক্রমকে চাবি দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখে বাড়ির মালিক তার কাছে জানতে চান কোথায় যাচ্ছে, জবাবে বিক্রম জানায় সে বাড়ি যাচ্ছে। এরপর সন্দেহ হওয়ায় ঘরের তালা ভাঙেন সুধাংশুবাবু।