নিজস্ব প্রতিনিধি: বছর শেষ হতে আর কয়েক মাস বাকি। আগামী বছরের প্রথমদিকে রাজ্যে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কৃষকদের স্বার্থে সার (Fertilizers) নিয়ে কালো বাজারি রুখতে তৎপর নবান্ন। সার নিয়ে যাতে কোনওরকম অনিয়ম না-হয় তার জন্য সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য কৃষি দফতর।
রাজ্য কৃষি দফতরের তরফে বুধবার জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রবি মরসুমে রাজ্যে আলু, বিভিন্ন তৈল বীজ, বোরো ধান এবং সবজির চাষ হয়। সেই কারণে সারের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। সমস্ত জেলার কৃষিকাজের জন্য কতটা সারের প্রয়োজন তা মূল্যায়ন করেছে রাজ্য। একইসঙ্গে সেই সারের সরবরাহের উপরও নজরদারি চালানো হবে কৃষি দফতরের তরফে। সেই মর্মে জেলাশাসকদের নিজেদের এলাকায় সার বিক্রির উপর নিবিড় নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। নির্ধারিত দামে যাতে কৃষকরা সার কিনতে পারেন, সেই বিষয়টি দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত বুধবার কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আলু চাষের জন্য প্রয়োজনীয় এনপিকে সার নিয়ে জানিয়েছিলেন, এনপিকে সার পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত আছে। সারের কোনও অভাব নেই। কিন্তু কিছু চক্র সার নিয়ে নানারকম খবর ছড়াচ্ছে। তাই সমস্ত জেলা প্রশাসনকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। ন্যায্য দামে চাষিদের কাছে সার পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নবান্নে সার উৎপাদক সংস্থা, ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কৃষিমন্ত্রী। নির্ধারিত দামে সার বিক্রির উপর জোর দেওয়া হয় সেই বৈঠকে। অনেক সময় কৃষকদের বাধ্য করা হয় সারের সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু কৃষি উপকরণ কিনতে। এই প্রবণতা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সার ডিলারদের অভিযোগ, সার উৎপাদক সংস্থাগুলি তাদের উপর অন্যান্য কৃষি উপকরণ জোর করে চাপিয়ে দেয়। কিন্তু কৃষকরা সেগুলি না কিনতে চাওয়ায় সারের দাম বেশি করে নিতে হয়।