নিজস্ব প্রতিনিধি : হাতে আর মাত্র কিছু সময় এরপরেই শুরু হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। দেওয়াল লিখন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে নদীয়ার শান্তিপুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রাপ্তির সুফল নিয়ে দেওয়াল লিখনে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীদের অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ ,দেওয়াল লিখন কালিমালিপ্ত করা এবং বাজে ভাষায় মূল লেখা পরিবর্তনের অভিযোগ । অত্যন্ত ভিন্ন এবং উত্তেজনা কর চাঞ্চল্যপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া শান্তিপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে।তবে দুষ্কৃতীর পেছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের মদত আছে বলেই অভিযোগ তৃণমূলের।
সেখানে তৃণমূল কর্মীদের দাবি পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ লক্ষ মহিলারা উপকৃত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মহিলাদের উপস্থিতিতে গতকাল মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে এই দেওয়াল লিখন করা হয়েছে গতকাল। কিন্তু দেওয়াল লিখনের সময় পার্শ্ববর্তী পাড়ার অসামাজিক বিভিন্ন কাজকর্মের সাথে যুক্ত ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাজিয়ার মোহাম্মদ স্ট্রিট এবং রাজপুট পাড়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে বাড়ি ভজন বিশ্বাস নামে এক দুষ্কৃতী তখনই বেশ কিছু কটুক্তি এবং গালিগালাজ শুরু করে যদিও বিষয়টিতে আমল না দেয়ার কারণে সে সময় কোনো অশান্তি সৃষ্টি হয়নি।তবে আজ সকালে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পীরের হাট লেনে লক্ষীর ভান্ডারের স্বপক্ষে এই দেওয়াল লিখন কালিমা লিপ্ত এবং বিকৃত করে নোংরা ভাষা প্রয়োগ করার ঘটনায় সেই দুষ্কৃতী যুক্ত আছে বলে মনে করছে তৃণমূল ওয়ার্ড নেতৃত্ব।
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয় তাদের দলের কেউ এই দুষকর্মের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনা। কারণ এই ভোটটি নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন এবং দেশ গড়ার লক্ষ্যে মানুষ ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।তবে তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠী অন্তর দ্বন্দ্ব মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসে আর সেই সব কারণেই কিনা তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ প্রশাসন। তবে যেই করে থাকুক ঘটনাটি অবশ্যই নিন্দনীয় এবং পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীর দৃষ্টান্তমূলক দিক।তবে অভিযুক্ত ভজন বিশ্বাস এখনও পর্যন্ত পলাতক। যদিও ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।এলাকাবাসীর বক্তব্য শোনার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।