এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মুখ্যমন্ত্রীকে Guard of Honor নারায়ণী ব্যাটালিয়নের, রাজবংশীদের বার্তা মমতার

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: পৃথক কোচ রাজ্য গড়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল কোচবিহারের(Coachbehar) মাটিতে। গড়ে উঠেছিল গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলন(Greater Coachbehar Movement)। মূলত সেই আন্দোলন ছিল রাজবংশী সম্প্রদায়ের(Rajbangshi Community)। সেই আন্দোলন এখন স্থিমিত। নেপথ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উন্নয়ন। কোচবিহারের মাটিতে মাথাচাড় দিয়ে ওঠা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে স্থিমিত করতে মমতা বেছে নিয়েছিলেন উন্নয়নের পথকেই। পৃথক রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ড(Rajbangshi Development Board) গড়ার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের(West Bengal State Police) অধীনে কোচবিহারে তৈরি হয়েছিল নারায়ণী ব্যাটালিয়ন(Narayanai Battalion)। সেই বাহিনীতে রাজবংশী যুবকদের নিয়েই গড়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়েছেন রাজবংশী কবি পঞ্চানন বর্মাকে ঘিরে জেলা ও রাজ্যে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের দিকেও। গড়ে উঠেছে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই সবের জেরেই এদিন কোচবিহারে যখন মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে গেলেন তখন তাঁকে Guard of Honor দিল রাজ্য পুলিশের অধীনে থাকা নারায়ণী ব্যাটালিয়ন। মুখ্যমন্ত্রীও এদিন রাজবংশীদের হাতে তুলে দিলেন বিশেষ উপহার। রাজ্যের বুকে থাকা ২১০টি রাজবংশী ভাষার স্কুলের উদ্বোধন(Inauguration of 210 Rajbangshi Medium School)  করলেন তিনি।

এদিন কোচবিহারের সার্কিট হাউস থেকে পায়ে হেঁটে জনসংযোগ সারতে সারতেই শহরের রাসমেলা মাঠের সভাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সভাস্থলেই তাঁকে Guard of Honor দেয় রাজ্য পুলিশের অধীনে থাকা নারায়ণী ব্যাটালিয়ন। রাসমেলা ময়দানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেখান থেকেই রাজবংশী ভাষার ২১০টি স্কুলের উদ্বোধন করেন। বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে সিংহভাগ স্কুলই রয়েছে কোচবিহার জেলায়। দীর্ঘদিন ধরে রাজবংশী সম্প্রদায়ের তরফে এই দাবি ছিল। তা পূরণ হওয়ায় এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান রাজবংশী সম্প্রদায়ের তরফে বংশীবদন বর্মন। সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার মধ্যে হওয়া নানা উন্নয়নের ছবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমি একটা বড় কাজ করলাম। অনেকগুলো ছোট ছোট রাজবংশী স্কুল ছিল। সেগুলো সরকারি কোনও সুবিধা পেত না। ২১০টি স্কুলকে রাজ্য সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে গেলাম। অর্থাৎ এবার থেকে রাজবংশী স্কুলের শিক্ষকরা সরকারি স্কুলের মতো বেতন পাবেন। পড়ুয়ারাও সব ধরনের সুবিধা পাবেন।’

তাঁর আমলে উত্তরবঙ্গে হওয়া উন্নয়নের তালিকার ফিরিস্তিও তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভাঙি না গড়ি। তাই বলব, কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আজ আমি এই জেলার জন্য ৫০০ কোটি টাকার ১৯৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন আর শিলান্যাস করে যাচ্ছি। এই জেলায় ৩০০ কোটি টাকা খরচে কোচবিহারে বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে। আমরাই করেছি। কেন্দ্র করেনি। কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ টাউন বানাতে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জেলাজুড়ে বহু নদীর ওপর সেতু তৈরি করে দিয়েছি। কোচবিহারে অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের যোগ আছে বলে আমি জানতে পেরেছি। তাঁদের বলব আমাদের পাশে থাকতে। আগামী দিনে ১০ লক্ষ বার্ধক্য ভাতা ও দেড় লক্ষ বিধবা ভাতা শীঘ্রই পেয়ে যাবেন। আরও ১২ হাজার গ্রামে পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে রাস্তা হবে। পরের মাস থেকে ৭ হাজার মানুষ মানবিক ভাতা পাবেন। গত বছরে বাংলা শস্য বিমা যোজনার অধীনে ২ লক্ষ কৃষককে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। নস্যশেখ জনজাতি উন্নয়ন বোর্ডের জন্য স্থায়ী অফিস এবং একটি গাড়ি দেওয়া হবে। কেন্দ্র টাকা বন্ধ করলেও পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি। ২০১৫ সালের পর থেকে কোচবিহারের ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি। আমি শুনলাম পুরসভার তরফে বাসিন্দাদের বাড়িতে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। অনেকে এই নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুরসভাকে বলব, নোটিস পাঠানোর কাজ বন্ধ রাখুন।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই সব ঘোষণাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন সভায় হাজির থাকা আমজনতা। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে প্রবীণ ও অক্ষম ভোটারদের দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করল কমিশন

ভিন রাজ্যের নিখোঁজ বৃদ্ধকে পরিবারের হাতে পৌঁছে দিল রানাঘাট পুলিশ

বারাসতের টাকি রোডে নার্সিংহোমে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ

গঙ্গারামপুরে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল প্রশাসন

‘মিথ্যা অভিযোগ’, মামলা তুলে নিতে চান সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের শিকার’ মহিলা

বুধবার শ্রীরামপুরে প্রচারে মুখোমুখি কল্যাণ- দীপ্সিতা, উঠলো স্লোগান, গাইলেন রবীন্দ্র সংগীত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর