এই মুহূর্তে




বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতেই বাংলাতে ভোল বদল জাতীয় মহিলা কমিশনের

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্লোগান ছিল ‘আবকে বার ৪০০ পার’। কিন্তু দেশের জনতা তাঁদের সেই লক্ষ্যের ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেননি। তাঁদের দেশের জনতা আটকে দিয়েছেন ২৪০টি আসন দিয়েই। ৪০০’র বেশি আসন তো বহু দূরের কথা, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতারও অনেকটা দূরেই পদ্মশিবিরকে আটকে দিয়েছেন দেশের জনতা। আর সেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরে পরেই বড়সড় ভোল বদল চোখে পড়ছে জাতীয় মহিলা কমিশনের(National Commission of Women) কথায় ও কাজে। লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) আগে এই কমিশনকেই কার্যত বিজেপির মহিলা কমিশন হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল। বাংলার(Bengal) বুকে পান থেকে চুন খসলেই সেই কমিশন দৌড়ে দৌড়ে চলে আসতো নাহয় টিম পাঠাতো। সেই সঙ্গে বাংলায় এসে তাঁরা রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) বিরুদ্ধে বিষেদ্গার চালাতো। কার্যত বিজেপির(BJP) হয়ে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা চালাতো তাঁরা। অথচ এখন সেই কমিশনের সুরই গিয়েছে বদলে। উত্তরবঙ্গের(North Bengal) কোচবিহার(Coachbehar) জেলার মাথাভাঙার রুইডাঙা এলাকায় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় সেই কমিশন জানাচ্ছে, ‘এখনই কোনও মূল্যায়নে যাচ্ছি না।’  

মাথাভাঙার রুইডাঙা এলাকায় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা নিয়ে চাপানউতর অব্যাহত। গতকাল অর্থাৎ শনিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী তথা বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। আর এদিন অর্থাৎ রবিবার তাঁর বাড়িতে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের এক সদস্যা। তিনি ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলার পরে সার্কিট হাউসে ফিরে যান। জাতীয় মহিলা কমিশনের সেই সদস্যা বেলিনা কংবুপের দাবি, ‘এই ঘটনায় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পারিবারিক গন্ডগোলের অভিযোগ। আমরা রাজনৈতিক কারণ দেখতে যাব না। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল, উনি এক জন মহিলা। তাঁর সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছে। এখনই কোনও মূল্যায়নে যাচ্ছি না। নির্যাতিতার সঙ্গে আমাকে আরও কথা বলতে হবে। তাঁর পরিবারের সবাই বাংলায় কথা বলেন। আমি যতটুকু বুঝেছি, ওরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশকে আমি সেটা জানিয়েছি। ওদের সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’ বেশ লক্ষ্যণীয় এই বার্তায় কিন্তু কোথাও তৃণমূল বিরোধিতা নেই। মমতা বিরোধিতা নেই। রাজ্য সরকারের প্রতি বিদ্বেষ নেই। এমনকি নেই কোনও রাজনৈতিক বার্তাও।

কয়েক দিন আগে মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন রুইডাঙা এলাকাযর বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েক জন মহিলা। এমনকি, তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। এ নিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশি তদন্ত চলছে। পদ্মশিবির দাবি করেছে, বিজেপি করেন বলেই মহিলাকে হেনস্থা করা হয়েছে। তারা পুরো ঘটনার সঙ্গে শাসকদলকে জড়িয়ে এ-ও অভিযোগ করেছে যে, শুধু মহিলারাই নন, হেনস্থায় ছিলেন পুরুষরাও। তা ছাড়া পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই বলে জানিয়েছে পদ্মশিবির। অগ্নিমিত্রা গতকালই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধির সুর কিন্তু মেলেনি বিজেপির সুরের সঙ্গে। কার্যত আগে যা মিলে সুর মেরা তুমহারা হয়ে যেত। লোকসভা নির্বাচনের ফল অনেক ছবিই বদলে দিচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়েও কেন কাজ করাননি? বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ধমক বিডিও’র

সৎ ভাইকে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে গা ঢাকা, অবশেষে গ্রেফতার দাদা, তোলপাড় নবদ্বীপ

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ডোমজুড়ে ৪ বছরের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

পণের টাকা দিতে না পারায় লাগাতার যৌন নির্যাতন, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর বিরুদ্ধে

ঈদে ছুটির কারণে শনিবারও হবে আর্থিক লেনদেন,বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের

সঙ্ঘাতের পথ ছাড়লেন রাজ্যপাল,বাজেট অধিবেশনে পাশ হওয়া তিন বিলে ছাড় বোসের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর